২০১৪ সালে আলিপুরদুয়ার জেলার জন্ম হয়, যা ডুয়ার্সের ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন। প্রায় একই সময়ে জন্ম নেয় মাসিক পত্রিকা ‘এখন ডুয়ার্স’। কলকাতা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত এই পত্রিকার ডুয়ার্স ব্যুরো অফিস খোলে জলপাইগুড়িতে ২০১৫ সালে। পত্রিকার পাশাপাশি শুরু হয় বই প্রকাশনাও।
পত্রিকার জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়তে থাকে। বস্তুত সাম্প্রতিক ইস্যু, ঘটনাবলী ও সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে এরকম একটি বাণিজ্যিক উদ্যোগের অভাব অনুভব করছিল বাংলার এই প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ। কলকাতার দৈনিক পত্রিকাগুলির উত্তরবঙ্গ সংস্করণ দক্ষিণে পৌঁছায় না, ফলে ডুয়ার্সের সুখদুঃখের কথা জানতে পারে না বাকি বাংলার মানুষ। সাময়িক পত্রিকাগুলিতে সে সুযোগও থাকে না, সেগুলি পুরোটাই কলকাতাকেন্দ্রিক।
একই পরিস্থিতি বই প্রকাশনার ক্ষেত্রেও। ফলে উত্তরের লেখকদেরকে প্রতিষ্ঠা পেতে চলে যেতে হয় কলকাতায়। বই প্রকাশ করতে খরচ করতে হয় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ধৈর্য, সময় ও অর্থ। একই ছবি শিল্পসংস্কৃতি ও রাজনীতিতেও। স্বভাবতই ‘এখন ডুয়ার্স’-এর কদর ডুয়ার্সে বাড়বে তা আর আলাদা করে বলবার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু ছাপা মাধ্যমের সীমাবদ্ধতার কথা মালুম হতে শুরু করল। পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ ডুয়ার্স সম্পর্কে জানতে চায়, ডুয়ার্সের প্রবাসীরা নিয়মিত আপডেট চায় তার মাতৃভূমির। কিন্তু সবাইকে ছাপা পত্রিকা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই অভাব পূরণ করতেই ছাপা মাধ্যমের পাশাপাশি চালু হল ইন্টারনেট মাধ্যম।
‘এখন ডুয়ার্স’ পত্রিকার এখনকার ইন্টারনেট বিস্তৃতি