কার্যত কাঁটাঝোপের জঙ্গল, শেড ট্রি-র অস্তিত্ব নেই, শ্রমিকেরা বালি পাথর ভাঙার বিকল্প পেশা বেছে নিয়েছে। তিনটে বাগানেরই প্রচুর শ্রমিক লকডাউনের আগে বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছিল ভিনরাজ্যে। তবুও ডুয়ার্সের বান্দাপানি, সুরেন্দ্রনাথ, এবং মধুচা বাগানের জমির লিজ হস্তান্তর করার জন্য রাজ্যের ভূমি এবং ভূমিসংস্কার দপ্তর টেন্ডার ডেকেছেন। তা নিয়েই নানাধরণের প্রশ্ন ঊঠতে শুরু করেছে ডুয়ার্সের চা বাণিজ্য মহলে।
তিনটি চা-বাগানই বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লিজের চুক্তি ভঙ্গ করে আগের মালিকপক্ষ চা-বাগান বন্ধ করে পালিয়ে গিয়েছিল। কেউই এই তিনটি চা বাগান ইতিপূর্বে চালাতে পারে নি। বকেয়া পিএফ, গ্র্যাচুইটি এবং মজুরি বাবদ বেশ কয়েক কোটি টাকা। সেসব বকেয়া মেটানোর দায় এবং হেক্টর পিছু ৪৫০০ টাকা জমির সেলামি বাবদ এবং একর পিছু ৩০ টাকা ভাড়ার দায় মাথায় নিয়ে, নতুন করে ওইসব চা বাগানের জমির লিজ হস্তান্তর প্রক্রিয়া মেটাবার সমস্ত শর্ত মেনে, যদি সত্যিই কোনও মালিকপক্ষ আলাদা আলাদাভাবে বা একযোগে এগিয়ে আসেন তাহলে সেটা হবে শ্রমিকস্বার্থে এক মহতী পদক্ষেপ।
কিন্তু এতে ভুরু কোঁচকাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই। তাদের প্রশ্ন, বাস্তবিকপক্ষে বাগান পুনর্নির্মাণ ছাড়াও এই বিশাল বকেয়ার বোঝা বহন করা কি সম্ভব? বিরোধী চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা একে “আইওয়াশ” বা “কুম্ভীরাশ্রু” আখ্যা দিলেও অন্য প্রশ্ন জাগছে চা বাগানেও। জনৈক বাগান প্রশাসক জানান, এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ি জেলায় প্রায় বারোটি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রায় দশটি বাগান বন্ধ। সব মিলিয়ে বেকার শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের বেশি। অথচ পরিযায়ী শ্রমিকদের বাগানে কর্মসংস্থানে নিয়োগ করার জন্য ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। আর তাই আশার থেকেও বেশি কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে ডুয়ার্সের চা শ্রমিক মহল্লায়।
Have an account?
Login with your personal info to keep reading premium contents
You don't have an account?
Enter your personal details and start your reading journey with us
Design & Developed by: WikiIND
Maintained by: Ekhon Dooars Team