পয়লা জুলাই থেকে রিসর্টের পরিসেবা চালু করে দেওয়ার বার্তা ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের তরফে দিব্যেন্দু দেব জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্গত ৪৬টা লজ সবকটা খোলা থাকবে।
চিলাপাতা সার্কিটে ৩৯টি হোমস্টে এবং ছটা লজ বা রিসর্ট প্রস্তুত, স্যানিটাইজেশন ও কর্মীদের অ্যাওয়ারনেস পালা মিটেছে। যদিও চিলাপাতার জঙ্গলে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত ঢোকা যাবে না। তবে হোম স্টে এবং লজগুলোতে পর্যটকরা আসতে পারেন, থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থা থাকবে। জানালেন আলিপুরদুয়ার ডিসট্রিক্ট ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা বিমল রাভা।
জলদাপাড়া সার্কিটের প্রধান প্রধান লজগুলিও খোলা থাকছে পর্যটকদের জন্য। জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ সাহা, জলদাপাড়া লজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনএর সম্পাদক ও কর্মকর্তা আলিপুরদুয়ার ডিসট্রিক্ট ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন।
ওদিকে বক্সা টাইগার রিজার্ভ এলাকায় অন্য চিত্র। শেখর ভট্টাচার্য, জয়ন্তি টুরিস্ট গাইড ইউনিয়নের সভাপতি এবং জয়ন্তী ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, বললেন, হোমস্টেগুলি প্রস্তুত। অনেকেই স্যানিটাইজেশনের নিয়ম জানত না। এডিটিএ-র পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। লজগুলি ঠিকমত স্যানিটাইজেশন করা হয়েছে। যদিও এখুনি পর্যটকদের আনাগোনা নিয়ে কিছু স্থানীয় মানুষের অমত আছে। তাঁর মতে, প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যটন ব্যবসায়ী, পঞ্চায়েত, বনদপ্তর একযোগে মিটিং প্রয়োজন ছিল। সেটা এখনও হয় নি, ফলে এ সমস্যা থাকতেই পারে। তবে তাঁর আশা, যেহেতু এলাকার ৯০% মানুষ পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল, তাই জীবিকার তাগিদটা তাঁরা সবাই বুঝবেন।
তিনি জানালেন, স্যানিটাইজেশনের অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্প হয়েছে হোম স্টে, গাইড, জিপসি ওনার্স সকলকে নিয়ে। কোনও রিসর্ট বা হোমস্টে স্যানিটাইজেশন হয়ে গেলে জেলা প্রশাসন থেকে চেকিং করার পর তাঁদের একটি ফিটনেস শংসাপত্র বা স্টিকার দেওয়া হবে। তারপর তাঁরা পর্যটন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। সেই প্রক্রিয়াই শুরু হয় নি। অতএব পয়লা জুলাই থেকেই এখানে পর্যটন শুরু হচ্ছে একথা বলা যাচ্ছে না।
সরকারি সিদ্ধান্তে কাগজে কলমে সরকারি পর্যটন চালু হয়ে গেলেও বক্সার চেকপোষ্টে ফরেস্ট গেট এখনো পুরোপুরি বন্ধ থাকছে। অথচ এসময় জঙ্গল বন্ধ থাকলেও ইকোট্যুরিজম চালু থাকে জয়ন্তীর ২৮ বস্তিতে। বনদপ্তরে এনিয়ে কোনও সরকারি নির্দেশ নেই। অন্যদিকে সান্তালাবাড়ি থেকে লেপচাখা হয়ে তাশিগাও পর্যন্ত কোনও লজ খোলা থাকবে না বলে জানিয়েছেন ইন্দ্রশংকর থাপা। রায়মাটাংও এসময় যাওয়া যাবে না। ডুয়ার্সে আগাম বর্ষায় পানা ও রায়মাটাং নদী ফুঁসছে। সেতুহীন পারাপারের পক্ষে যা মোটেও নিরাপদ নয়।
কিন্তু গরুমারা জলদাপাড়া চিলাপাতা বা বক্সা সর্বত্রই অনেক রিসর্ট ব্যবসায়ীর বক্তব্য, অন্য রাজ্যের কথা ছেড়েই দিলাম, কলকাতায় এখন সংক্রমণ সর্বব্যাপী রূপ নিচ্ছে যা সেপ্টেম্বর অবধি গড়াবে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার ওপর ট্রেন চলছে মাত্র একটি। বর্ষার আবহাওয়া, জঙ্গল বন্ধ, এলাকার মানুষদের পর্যটক আসার ক্ষেত্রে বিরোধিতা, এসব মিলিয়ে কলকাতা থেকে অন্তত এসময় কজন উত্তরবঙ্গে বেড়াতে আসবার অ্যাডভেঞ্চার করবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকে অবশ্যই। তাঁদের মতে, বন দপ্তর, পর্যটন দপ্তর ও প্রশাসন মিলে যৌথ পরিকল্পনায় পর্যটন বাণিজ্যকে বাঁচাতে এগিয়ে না এলে, পর্যটককে আশ্বস্ত করতে না পারলে আগামী পুজোতেও কোনও বাণিজ্যের সম্ভাবনা নেই।
Have an account?
Login with your personal info to keep reading premium contents
You don't have an account?
Enter your personal details and start your reading journey with us
Design & Developed by: WikiIND
Maintained by: Ekhon Dooars Team