× home হোম archive আগের ওয়েব সংখ্যা panorama ডুয়ার্স সম্পর্কে play_circle_filled ভিডিও file_download মুদ্রিত সংখ্যার পিডিএফ library_books আমাদের বইপত্র
people এখন ডুয়ার্স সম্পর্কে article শর্তাবলী security গোপনীয়তা নীতি local_shipping কুরিয়ার পদ্ধতি keyboard_return বাতিল/ফেরত পদ্ধতি dialpad যোগাযোগ
login লগইন
menu
ad01112021105753.jpg
×
সংখ্যা: জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০
উত্তরের বন্যপ্রাণ
ভীমরাজ উধাও!
অভিযান সাহা
কোচবিহার অনলাইন
হেরিটেজ তকমাপ্রাপ্ত কোচবিহারে সৌন্দর্যায়নের তত্ত্বতালাশ
তন্দ্রা চক্রবর্তী দাস
ডাকে ডুয়ার্স
গরুমারা জাতীয় উদ্যানের বগলে রিয়েল এস্টেট রমরমা সর্বনাশের ইঙ্গিত নয়?
মমি জোয়ারদার
দিনাজপুর ডে আউট
খন গান
মনোনীতা চক্রবর্তী
জলশহরের কথা
এক যে ছিল টৌন | পর্ব - ২
শুভ্র চট্টোপাধ্যায়
খোলা মনে খোলা খামে
হারিয়ে যাচ্ছে মায়া ও মায়াবৃক্ষ
শ্যামলী সেনগুপ্ত
ধারাবাহিক প্রতিবেদন
উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতি ও সংস্কৃতির লোকজন | পর্ব - ৯
সব্যসাচী দত্ত
শিলিগুড়ি স্টোরিলাইন
বিশ্বায়নের রসায়নে খাবি খাচ্ছে সাবেকি খুচরো ব্যবসার বিধান মার্কেট
নবনীতা সান্যাল
সুস্বাস্থ্যই সম্পদ
গরমের মোকাবিলায় পান্তাভাত পুষ্টিগুণে তুলনাহীন
ডঃ প্রজ্ঞা চ্যাটার্জি
উত্তরের বইপত্র
জলপাইগুড়ি শহরের মুখবন্ধ
গ্রন্থন সেনগুপ্ত
উত্তর-পূর্বের চিঠি
মনিপুরের এই জনজাতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এ রাজ্যের পক্ষেও অশনি সঙ্কেত
সৌমেন নাগ
সম্পাদকের কলম
সবুজ শীতলতার খোঁজে
প্রদোষ রঞ্জন সাহা
আমচরিত কথা
এক টুকরো ভারতবর্ষ দর্শন | আমচরিত কথা | পর্ব - ১৭
তনুশ্রী পাল
দুয়ার বার্তা
আলিপুরদুয়ার সলসলাবাড়ির ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী মেলা
শিঞ্জিনী চট্টোপাধ্যায়
নেট গল্প
একটি তারার মাঝে
মুকুলিকা দাস
পাতাবাহার
ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল
পাতা মিত্র
পর্যটন
তাকদার সেনাছাউনি
তড়িৎ রায় চৌধুরী

প্রচ্ছদ ছবি

এই সংখ্যার প্রচ্ছদ শিল্পী চন্দ্রাশ্রী মিত্র

আলিপুরদুয়ার সলসলাবাড়ির ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী মেলা

শিঞ্জিনী চট্টোপাধ্যায়
Alipurduar Astami Mela

আলিপুরদুয়ার জেলার সলসলাবাড়িতে কালজানি নদীর ধারে অষ্টমী মেলার আয়োজন হয়ে আসছে সেই ১৯৩৬ সাল থেকে। প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু হলেও সময়ের সাথে সাথে মেলার শ্রী এবং কলেবর দুইয়েরই বৃদ্ধি ঘটেছে। বিগত দুই বছর মহামারীর কারণে মেলা বন্ধ থাকায় গত চৈত্র মাসে অষ্টমীর সকালে মেঘলা আকাশ এবং শিরশিরে ঠান্ডা উপেক্ষা করে পূণ্যার্থীদের ঢল নেমেছিল কালজানির তীরে মেলা প্রাঙ্গণে। লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়েছিল এই মেলায়। জাতীয় সড়কের পাশে এই মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সেদিন ভয়ঙ্কর যানজট হয়েছিল। চৈত্রমাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষ নদীতে ডুব দেয় পাপস্খলনের আশায়। কথিত আছে পিতা জমদগ্নীর আদেশে কনিষ্ঠ পুত্র পরশুরাম তার মা রেণুকাকে কুঠারের আঘাতে হত্যা করে। পরে জমদগ্নীর রাগ প্রশমিত হলে পরশুরামের অনুরোধে পিতা জমদগ্নী, তার মা রেণুকার জীবন ফিরিয়ে দেন। কিন্ত মাতৃহত্যার অপরাধে পরশুরামের হাতে কুঠার আটকে যায়। জমদগ্নীর উপদেশে পরশুরাম ব্রক্ষকুন্ডে স্নান করলে তার পাপস্খলন হয় এবং কুঠার হাত থেকে খুলে পড়ে। সেইদিনটি  ছিল চৈত্রমাসের শুক্লা অষ্টমী তিথি। পরশুরাম পৃথিবীর মানুষের পাপমুক্তির আশায় ব্রক্ষ্মকুন্ডের জল কুঠার দিয়ে ঠেলে হিমালয়ের পাদদেশ পর্যন্ত নিয়ে আসেন। এই পৌরাণিক কাহিনী শোনার পর মানুষের মধ্যে ধারণা হয় যে, এই তিথিতে নদীতে  ডুব দিয়ে  স্নান  করলে পাপস্খলন হয়।  তার থেকেই এই উৎসব এবং মেলার উৎপত্তি। এই মেলা নানা মানুষের ভীড়ে হয়ে উঠেছে বৈচিত্রের মিলনক্ষেত্র।

ডুয়ার্সের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী মেলা হিসেবে চিহ্নিত সলসলাবাড়ির এই গঙ্গাবাড়ী মেলা। ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে এই স্নানের গুরুত্ব আরোও একটি কারণে  অপরিসীম, কারণ এদিন স্থানীয় মানুষ পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তিল তর্পণ করে থাকে এই ভেবে যে পূণ্য তিথিতে, পূণ্য স্নান করে তর্পণ  করলে পিতৃপুরুষ জল পান। পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে জল দেওয়ার পাশাপাশি অস্থি বিসর্জনও দেওয়া হয়‌। এই স্নানের মাহাত্ম্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেলায় আগত এক পূণ্যার্থী বলেন, যেখানে নদী আছে সেখানেই এই অষ্টমী তিথিতে পূণ্য স্নান হয়। স্থানীয় মন্দিরে এদিন  বাসন্তী, গঙ্গা ও অশোকা অষ্টমীর পুজো হয়ে থাকে। সকাল থেকে পূণ্যার্থীদের ভিড় জমতে থাকে মেলা প্রাঙ্গণে। বহু পুরোহিতও আসেন তর্পণ করানোর জন্য।

মেলায় পূণ্য অর্জন ছাড়া রসনা তৃপ্তিরও সুবন্দোবস্ত থাকে। গ্ৰামীণ মহিলাদের হাতে বানানো মোয়া, মুড়কি, তিলের খাজা থেকে শুরু করে নিমকি, চিনির পুতুল যেমন  পাওয়া যায় তেমনি জিলিপি, কচুরী, শিঙাড়ার গন্ধে ম'ম করে মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়া স্নান করে উঠে দই, চিঁড়ে, গুড় খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। খাওয়ার জিনিসের পাশাপাশি বাহারী রঙীন জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে যায় দোকানীরা। তার মধ্যে থাকে চুড়ি, মালা, দুল এমনকি সংসারের উপযোগী বাসন, মাটির পাত্র, কাঠের হাতা, বেলন চাকি, বাচ্চাদের মনোহরণকারী  রঙীন বেলুন, বাঁশি ইত্যাদি। অন্নপূর্ণা এবং বাসন্তীপুজো উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত অষ্টমীর মেলা এলাকাবাসীর কাছে বড় আবেগের।

এই সংখ্যার সূচী

করোনা কালের প্রতিবেদন ফ্রি রিডিং

Disclaimer: Few pictures in this web magazine may be used from internet. We convey our sincere gratitude towards them. Information and comments in this magazine are provided by the writer/s, the Publisher/Editor assumes no responsibility or liability for comments, remarks, errors or omissions in the content.
Copyright © 2025. All rights reserved by www.EkhonDooars.com

Design & Developed by: WikiIND

Maintained by: Ekhon Dooars Team