× home হোম archive আগের ওয়েব সংখ্যা panorama ডুয়ার্স সম্পর্কে play_circle_filled ভিডিও file_download মুদ্রিত সংখ্যার পিডিএফ library_books আমাদের বইপত্র
people এখন ডুয়ার্স সম্পর্কে article শর্তাবলী security গোপনীয়তা নীতি local_shipping কুরিয়ার পদ্ধতি keyboard_return বাতিল/ফেরত পদ্ধতি dialpad যোগাযোগ
login লগইন
menu
ad01112021105753.jpg
×
সংখ্যা: জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০
উত্তরের বন্যপ্রাণ
ভীমরাজ উধাও!
অভিযান সাহা
কোচবিহার অনলাইন
হেরিটেজ তকমাপ্রাপ্ত কোচবিহারে সৌন্দর্যায়নের তত্ত্বতালাশ
তন্দ্রা চক্রবর্তী দাস
ডাকে ডুয়ার্স
গরুমারা জাতীয় উদ্যানের বগলে রিয়েল এস্টেট রমরমা সর্বনাশের ইঙ্গিত নয়?
মমি জোয়ারদার
দিনাজপুর ডে আউট
খন গান
মনোনীতা চক্রবর্তী
জলশহরের কথা
এক যে ছিল টৌন | পর্ব - ২
শুভ্র চট্টোপাধ্যায়
খোলা মনে খোলা খামে
হারিয়ে যাচ্ছে মায়া ও মায়াবৃক্ষ
শ্যামলী সেনগুপ্ত
ধারাবাহিক প্রতিবেদন
উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতি ও সংস্কৃতির লোকজন | পর্ব - ৯
সব্যসাচী দত্ত
শিলিগুড়ি স্টোরিলাইন
বিশ্বায়নের রসায়নে খাবি খাচ্ছে সাবেকি খুচরো ব্যবসার বিধান মার্কেট
নবনীতা সান্যাল
সুস্বাস্থ্যই সম্পদ
গরমের মোকাবিলায় পান্তাভাত পুষ্টিগুণে তুলনাহীন
ডঃ প্রজ্ঞা চ্যাটার্জি
উত্তরের বইপত্র
জলপাইগুড়ি শহরের মুখবন্ধ
গ্রন্থন সেনগুপ্ত
উত্তর-পূর্বের চিঠি
মনিপুরের এই জনজাতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এ রাজ্যের পক্ষেও অশনি সঙ্কেত
সৌমেন নাগ
সম্পাদকের কলম
সবুজ শীতলতার খোঁজে
প্রদোষ রঞ্জন সাহা
আমচরিত কথা
এক টুকরো ভারতবর্ষ দর্শন | আমচরিত কথা | পর্ব - ১৭
তনুশ্রী পাল
দুয়ার বার্তা
আলিপুরদুয়ার সলসলাবাড়ির ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী মেলা
শিঞ্জিনী চট্টোপাধ্যায়
নেট গল্প
একটি তারার মাঝে
মুকুলিকা দাস
পাতাবাহার
ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল
পাতা মিত্র
পর্যটন
তাকদার সেনাছাউনি
তড়িৎ রায় চৌধুরী

প্রচ্ছদ ছবি

এই সংখ্যার প্রচ্ছদ শিল্পী চন্দ্রাশ্রী মিত্র

একটি তারার মাঝে

মুকুলিকা দাস
Ekti Tarar Majhe

জুঁইকে ঘুম পাড়াতে পাড়াতে ঈশ্বরকে আরেকবার গাল পারে সরমা।

জুঁই কেন দেখতে পাবে না, এটাই তার একমাত্র প্রশ্ন। 

নিজের কোল খালি সরমার, জুঁই হবার পর থেকেই এই বাড়িতে বাঁধা সে। অন্ধ মেয়েকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই কর্মব্যস্ত মা বাবার। সরমাই মানুষ করছে একা হাতে। সরমা নিজের সংসার ছেড়েছে, মাতাল স্বামীর বেলেল্লাপনা থেকে বেড়িয়ে এসেছে জুঁইয়ের ওপর নির্ভর করেই। এখন তার ভগবানের কাছে একটাই প্রার্থনা, তার জুঁইটা যদি কোনওভাবে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়!

দাদাবাবু মানে জুঁইয়ের বাবা বলেছে কোন মৃত মানুষের চোখের কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন করলে জুঁই আবার দেখতে পাবে। সরমা কর্ণিয়া চেনে না, ও শুধু মাথায় রেখেছে একটা মৃত মানুষের চোখ চাই! কবে পাবে জুঁই?

জুঁইও বুড়িমা বলতে পাগল। ওর চুল বেঁধে দেওয়া থেকে শুরু করে ব্রেইলে পড়াশোনা করতেও বুড়িমাই ভরসা। মা-বাবাকে কোনদিনও সেভাবে কাছে পায়নি জুঁই, সব আবদার, অভিযোগ বুড়িমার কাছেই। তার একটাই ইচ্ছে, দু চোখ ভরে একবার রাতের আকাশটা প্রাণ ভরে দেখবে!

সেদিন দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর জুঁই ঘুমোচ্ছে। জুঁইয়ের বাবা মা কাজে বেরিয়ে গেছে সেই সকালে। জুঁইকে ঘুম পাড়িয়ে সরমারও খানিক তন্দ্রামতো এসেছিল।

হঠাৎ কেঁপে ওঠে ঘরদোর, সরমা ধরমরিয়ে উঠে পড়ে, 

ভূমিকম্প! বাড়িঘর দরজা জানালা থরথর কাঁপছে! সর্বনাশ!

টলতে টলতে কোনওমতে জুঁই-এর কাছে পৌঁছে ধাক্কা দেয় সরমা, গভীর ঘুমে থাকা জুঁই ওঠে না। প্রবল আতংক নিয়ে জুঁইকে কোলে তুলে নিয়েই এক ছুটে কোনওমতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়ে সরমা। বুকের মধ্যে যেন হাতুড়ি পেটাচ্ছে কেউ।

কিছুক্ষণের মধ্যেই থেমে যায় কম্পন। আশপাশের সবাই বেরিয়ে এসেছে, আতংকের ছায়া চোখেমুখে তাদের।

ইতিমধ্যে ঘুম ভেঙে যায় জুঁইয়ের, কথাবার্তাতে বোঝে ভূমিকম্প হয়েছিল, এখন সে তাদের বাড়ির বাইরে কোথাও একটা বসে আছে। আশপাশের ভিড়ের মধ্যেও হাতড়ে বুড়িমাকে খোঁজে ও, একটু আগেই তো ছিল ওর হাত ধরে দাঁড়িয়ে...

চিৎকার করে সে ডাকতে থাকে বুড়িমাকে। কোনও সাড়া নেই। ডাকতে ডাকতে কেঁদে ফেলে ভয়ে। কে যেন এসে তাকে জড়িয়ে ধরে পিঠে হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিতে থাকে।

 

কিছুক্ষণ পর ফোন যায় জুঁইয়ের বাবা মায়ের কাছে, তাড়াতাড়ি তাঁরা যেন পৌঁছান স্থানীয় হাসপাতালে।

সরমার বড়সড় স্ট্রোক হয়েছে, এর আগেও দুবার অ্যাটাক হয়েছিল। এবার তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি, তবে তাঁর শেষ ইচ্ছেটা পূরণ করতে ইচ্ছুক হাসপাতালের পরিচিতি ডাক্তারবাবুরা। 

মেয়ের দিকে একবার ভেজা চোখে তাকান তার বাবা-মা, সম্মতি জানান।

একসপ্তাহ পর বাড়ি ফেরে জুঁই।

জানলা খুলে রাতের আকাশটা দেখে, অবাক হয়, তারাগুলো এতো জ্বলজ্বলে! 

ওর মধ্যে একটা তারা সবচেয়ে উজ্জ্বল।

বুড়িমা বলতো "মারা গেলে সক্কলে আকাশের তারা হয়ে যায়!"

ওই উজ্জ্বল তারাটাই কি তবে বুড়িমা?

চোখ বুজে বুড়িমাকে থ্যাংকস জানায় জুঁই, এখন সে তারাটার সঙ্গে সারাদিন গল্প করবে। 

কে যেন তার মাথায় হাত বুলিয়ে যায়!

এই সংখ্যার সূচী

করোনা কালের প্রতিবেদন ফ্রি রিডিং

Disclaimer: Few pictures in this web magazine may be used from internet. We convey our sincere gratitude towards them. Information and comments in this magazine are provided by the writer/s, the Publisher/Editor assumes no responsibility or liability for comments, remarks, errors or omissions in the content.
Copyright © 2025. All rights reserved by www.EkhonDooars.com

Design & Developed by: WikiIND

Maintained by: Ekhon Dooars Team