লেখক, অনুবাদক, শিল্প অনুরাগী, সমালোচক, উদীয়মান লেখক এবং তরুণ পাঠকদের এক অনন্য সাহিত্য সঙ্গম এই প্রাগজ্যোতিষপুর সাহিত্য উৎসব ২০২৩। আয়োজনের তালিকায় ছিল প্যানেল আলোচনার সিরিজ, লেখকদের সাথে ইন্টারেক্টিভ সেশন, সৃজনশীল লেখার উপর কর্মশালা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বহুভাষিক কবিতা পাঠ, বই উন্মোচন। অসম সাহিত্য সভা এবং গুয়াহাটির জেলা গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী এই সাহিত্য উৎসবের আয়োজক শংকরদেব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন। তাঁদের প্রথমবারের থিম ছিল ‘শিকড়ের সন্ধানে’।
উৎসব আয়োজক কমিটির প্রধান ফণীন্দ্র কুমার দেবচৌধুরী এবং ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট-ইন্ডিয়া-র চেয়ারম্যান মিলিন্দ সুধাকর মারাঠে পবিত্র প্রদীপ জ্বালিয়ে এই জাতীয় স্তরের সাহিত্য উৎসবের (২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর) সূচনা করেছিলেন, সহযোগিতায় ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রবিন কলিতা, অনাবাসী অসমিয়া লেখক দেবজিৎ ভূঁইয়া, প্রকৃতিকর্মী সৌম্যদীপ দত্ত প্রমুখরা। পদ্মশ্রী গোর্খা লেখক লিল বাহাদুর ছেত্রী, গোয়ার কোঙ্কনী সাহিত্যিক ভূষণ ভাবে, নয়াদিল্লির অধ্যাপক-লেখক অংশু যোশি, বিশিষ্ট টেলিভিশন সংবাদ ব্যক্তিত্ব রুবিকা লিয়াকত, ফাউন্ডেশন সভাপতি রামানন্দ দাস, প্রাগজ্যোতিষপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতি কুমার সিনহা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ।
ফণীন্দ্র কুমার দেবচৌধুরী, নিজে একজন প্রশংসিত লেখক, তাঁর স্বাগত ভাষণে পূর্ব ভারতের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ভাষাগুলিকে সঠিক প্রদর্শনের উপর জোর দেন। অনেক উচ্চশিক্ষিত লোকের নিজেদের ঐতিহ্যকে ক্ষুণ্ন করার প্রবণতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফণীন্দ্র কুমার দেবচৌধুরী যুক্তি দেন, অনেক বুদ্ধিজীবী ভারতীয় সাহিত্যকে বিদেশী তত্ত্ব দিয়ে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেন শুধুমাত্র প্রাচীন সভ্যতার নির্মলতাকে ঢাকতে। রুবিকা লিয়াকত দৃঢ়ভাষায় জানান যে তাঁর জন্য মাতৃভূমি ভারত সর্বদাই তাঁর ধর্মের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য তার শিকড়কে শক্তিশালী করা প্রয়োজন, তার উপর জোর দেন তিনি। এনবিটি চেয়ারপার্সন মারাঠে, যিনি নিজে একজন বহুমুখী লেখক এবং সমালোচক, তাঁর বক্তৃতায় সমাজের মঙ্গলের জন্য উদ্দেশ্যমূলক সাহিত্য নির্মাণের উপর জোর দেন। তিনি নতুন প্রজন্মের লেখকদের ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ব্যাপক অধ্যয়ন, মিথস্ক্রিয়া এবং ভবিষ্যতবাদী সৃজনশীল অনুশীলনে জড়িত হওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান।
বর্তমান আসামই হল অতীতের প্রাগজ্যোতিষপুর (পরে যা কামরূপ নামেও পরিচিত) নামক প্রাচীন রাজ্যের কেন্দ্রীয় অংশ, যার রাজধানীর অবস্থান মোটামুটিভাবে গুয়াহাটিতেই ছিল বলে অনুমান করা হয়। এককালে এই প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের বিস্তার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, ভুটানের পাহাড় (নেপালের কিছু অংশ সহ), রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ত্রিপুরা, খাসি হিলস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। এই প্রাগজ্যোতিষপুরের উল্লেখ আমরা রামায়ণ-মহাভারতে ছাড়াও কালিকাপুরান, যোগিনীতন্ত্র, চর্যাপদতে পাই। স্ত্রী সীতাকে হারানোর পর তাঁর সংগ্রামের জটিল পর্যায়ে প্রাগজ্যোতিষপুর কথাটি উচ্চারণ করেছিলেন ভগবান শ্রীরাম। অন্যদিকে, প্রাগজ্যোতিষপুরের শক্তিশালী রাজা ভগদত্ত মহাভারতের যুদ্ধে কৌরবদের দলে (পান্ডবদের বিরুদ্ধে) ছিলেন। যখন কামরূপ রাজ্যের অস্তিত্ব আসে, তখন কিংবদন্তি রাজা কুমার ভাস্করবর্মণ এই স্থানে রাজত্ব করতেন। ভাস্করবর্মণ সম্রাট হর্ষবর্ধনের (কনৌজা ও থানেশ্বর) সঙ্গে একটি পারস্পরিক সম্মানজনক সম্পর্ক বজায় রাখতেন এবং প্রায়ই হর্ষবর্ধনকে উপহার হিসেবে মূল্যবান বই পাঠাতেন। তিনি শিক্ষার অন্যতম বিশ্বখ্যাত প্রাচীন পীঠস্থান নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উল্লেখযোগ্য পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। সেসময় প্রাগজ্যোতিষপুর শিক্ষা, প্রকাশনা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলনের কেন্দ্রস্থল ছিল। অনেক মূল্যবান বই লেখা হয়েছে এই প্রাগজ্যোতিষপুরে। যেমন স্থানীয় ভাষায় মাধব কান্দালির রামায়ণ একজন লেখকের বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষতা নির্দেশ করে। সাধারণ বিজ্ঞান, আয়ুর্বেদ, প্রাচীন চিকিৎসাবিদ্যা, জ্যোতিষশাস্ত্র, চারুকলা ইত্যাদির চর্চা হতো সেই প্রাচীন কাল থেকেই, যে পরম্পরা আজও জারি আছে।
জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-লেখক শ্রীমতি অংশু যোশি, গবেষক নম্রতা পাঠকের সাথে একটি কথোপকথন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা কেন্দ্রে লাভ জিহাদকে জুড়ে দেওয়ার ভুয়ো ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাঁর নিজের উপন্যাস 'জেএনইউ মে এক লড়কি রহেতি থি' উদ্ধৃত করে, যোশিজী মার্কসবাদের নামে ভণ্ডামির কথা বর্ণনা করেন যা এখনও সেই প্রিমিয়ার প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান। পরিশেষে তিনি উদীয়মান লেখকদের তাদের নিজের জীবন এবং সাহিত্য সৃষ্টিতে ভুল ও সঠিক বিষয়বস্তুকে কীভাবে বিচার করতে হয় তা শেখার আহ্বান জানান। যোশিজী আশা প্রকাশ করেন, সমাজের কাছে নিজেদেরকে দায়িত্বশীল লেখক হিসেবে গড়ে তুলবে নতুন প্রজন্ম, তাদের সাহিত্যকর্মকে জাতি গঠনের কাজে ব্যবহার করবে। অন্যদিকে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত অসমিয়া লেখক অনুরাধা শর্মা পূজারি, লেখক নিজারা হাজারিকার সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে নানাবিধ প্রাসঙ্গিক বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন।
‘শিকড়ের সন্ধানে ইতিহাসের অধ্যয়ন' বিষয়ক আলোচনায় যোগেশ কাকতির পরিচালনায় দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অঙ্কিতা দত্ত (জেএনইউ), জ্যোতির্ময় প্রধান (এনইএইচইউ), নমিতা দেবী (বারভাগ কলেজ) এবং সাংবাদিক রূপম বড়ুয়া। অধ্যাপক অংশু যোশি, কোঙ্কনি সাহিত্যিক ভূষণ ভাবে এবং অসমিয়া ইতিহাসবিদ রবিন শর্মা 'সাহিত্যের মাধ্যমে ঐতিহ্যের অন্বেষণ' নিয়ে আলোচনা করেন, তাঁদের মতে প্রাচীন ভারতীয় পরম্পরাকে অস্বীকার করবার কোনও উপায় নেই, ঐতিহ্যের সঙ্গে আজকের প্রযুক্তির সঠিক মেলবন্ধন ঘটাতে হবে।
বিভাস চৌধুরীর পরিচালনায় একটি আকর্ষণীয় অধিবেশনে লেখক অরিন্দম শর্মা, মনিকা দেবী, লক্ষ্মী হাজারিকা, ভাস্করজ্যোতি শর্মা এবং ধীরেন শর্মা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ সমসাময়িক অসমিয়া সাহিত্য সম্পর্কে আলোচনা করেন। পরিবেশবিদ লেখক সৌম্যদ্বীপ দত্ত ‘সমসাময়িক প্রকৃতি-সাহিত্য’ বিষয়ক একটি অধিবেশন সঞ্চালনা করেন, যেখানে ভারতী দত্ত, প্রদোষ রঞ্জন সাহা, পঙ্কজ দত্ত প্রমুখ তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আজকের দিনে প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে সচতনতা গড়ে তুলতে নেচার রাইটিং বা প্রকৃতি-সাহিত্য চর্চার প্রসার কতটা জরুরি এবং আজকের দিনে সেই সাহিত্যের ধারা কীরকম হওয়া উচিত সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পুরস্কার বিজয়ী অনুবাদক বিপুল দেউরি আঞ্চলিক ভারতীয় সাহিত্যে অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একটি অধিবেশন পরিচালনা করেন, যেখানে মিত্র ফুকন, ইন্দ্রাণী লস্কর এবং নীল মোহন রায় তাঁদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন।
জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী চিত্র পরিচালক মঞ্জু বোরা, জনপ্রিয় অভিনেত্রী মলয়া গোস্বামী, চলচ্চিত্র সমালোচক অঙ্কন রাজকুমার এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা কাঙ্কন ডেকা 'আসাম থ্রু দ্য সিনেমাটিক লেন্স' অর্থাৎ ‘সিনেমার পর্দায় অসম’ শীর্যক সেশনে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেন, যেটি সঞ্চালনা করেন লেখক বিটোপন বরবরা। বক্তারা সবাই একমত হন যে আঞ্চলিক চলচ্চিত্রগুলিই প্রকৃত ভারতের চিত্র প্রতিফলিত করে। তারা নতুন যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাজ করার সময় চলচ্চিত্র প্রযুক্তির রূপান্তর গ্রহণের আহ্বান জানান। সকল অসমিয়া (নানান জাতিগত ভাষায় নির্মিত) সেলুলয়েড চলচ্চিত্রগুলির ডিজিটাইজেশন প্রয়োজন একথা সবাই জোর দিয়ে বলেন।
পুরন্দর বড়ুয়ার সঞ্চালনায় ‘ভারত ও শঙ্করদেবের নব্য বৈষ্ণববাদ’ বিষয়ক আলোচনায় বক্তৃতা করেন আউনিয়াতি সত্রের সত্রাধিকারী পীতাম্বর দেবগোস্বামী এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমলেন্দু চক্রবর্তী। তাঁরা তাঁদের বক্তব্যে পঞ্চদশ শতকের সাধক, দার্শনিক এবং সমাজ সংস্কারক শ্রীমন্ত শঙ্করদেব এবং তাঁর প্রধান শিষ্য ও আধুনিক অসম সংস্কৃতির চিন্তক রূপকার শ্রী মাধবদেবের নানান ভাবনাকে একত্রে জুড়ে দেন। অসমের বিশিষ্ট গল্পকার অতনু ভট্টাচার্য তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল সাহিত্যচর্চার কর্মশালায় তাঁর মৌলিক ভাবনার কথা বলেন, নানান প্রশ্নের উত্তর দেন। ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতির উপর ছাত্রছাত্রীদের কুইজ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন দীপঙ্কর কৌশিক। অপরাজিতা পূজারির সঞ্চালনায় বহুভাষিক কবিতা অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন মোদার জ্যোতি, ধীমান বর্মণ, সৌরভ শইকিয়া, ইন্দুপ্রভা দেবী, জয়জিৎ ডেকা, গঙ্গা মোহন মিলি, হাংমিজি হানসে, সঞ্জয় দাস সহ বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিমান কবি।
উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে সমুদ্রগুপ্ত কাশ্যপ (নাগাল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর) এবং সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক-অনুবাদক দিগন্ত বিশ্বশর্মার উপস্থিতিতে প্রবীণ সাহিত্যিক নাহেন্দ্র পাদুন এবং প্রতিশ্রুতিমান তরুণ লেখক নয়নজ্যোতি শর্মাকে প্রাগজ্যোতিষপুর সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার নিতে দিয়ে পাদুন বলেন তাঁকে মিসিং কবি বলা হয় কিন্তু মিসিং তাঁর মাতৃভাষা হলেও তিনি আদতে একজন অসমিয়া লেখক। তাঁর আক্ষেপ, বিভিন্ন জাতি-উপজাতির লেখকরা মূল অসমিয়া ভাষায় লিখছেন ঠিকই কিন্তু অসমিয়া মূলধারার কোনও লেখক এখনও উপজাতীয় ভাষায় লেখালেখি করেন না। আর নয়নজ্যোতি বলেন, তিনি আদপে একজন চিকিত্সক কিন্তু এই পুরস্কার প্রাপ্তি তাঁকে লেখক হিসাবে নতুন করে অনুপ্রাণিত করল।
দিগন্ত বিশ্বশর্মা তার ভাষণে পশ্চিমে সৃষ্ট সাহিত্যের যুগ নিয়ে আলোচনা করেন এবং একই সাথে উত্তর-আধুনিক যুগের ধারণার সমালোচনা করেন। তিনি আক্ষেপ করেন যে এই ধরণের পশ্চিমী চিন্তাধারাই ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে সনাতন মূল্যবোধকে কেড়ে নিয়েছে। তিনি এই সাহিত্য উৎসবের থিমের প্রশংসা করে বলেন যে এই প্রাসঙ্গিক থিম নিয়ে পাঠকের মননে প্রবল আলোচনার ঝড় তোলা প্রয়োজন। সমুদ্রগুপ্ত কাশ্যপ বলেন, যখন এই পূণ্যভূমি ভারতে সাহিত্যচর্চা শুরু হয়েছিল তখন পশ্চিমী দেশগুলিতে লিখিত ভাষাও ছিল না। সুদেষ্ণা ভট্টাচার্য (এসইআরএফ-এর পক্ষ থেকে) এবং বিক্রম কলিতা (উৎসব আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি) উদ্যোগের প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানান।
এই ধরণের জাতীয় মানের লিটফেস্টগুলি দেশ জুড়ে বইপ্রেমী, লেখক-কবি, নাট্যকার, সাহিত্য-সঙ্গীত-চলচ্চিত্র সমালোচক, চিন্তাবিদ, সম্পাদক, সাংবাদিক সবার মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, কারণ আঞ্চলিক সাহিত্যকর্মগুলিকে এই লিটফেস্টে যথেষ্ট উৎসাহ প্রদান করা হয়। বলতে দ্বিধা নেই, জয়পুর, কলকাতা, ব্যাঙ্গালোর, কেরালা, পুনে, মুম্বাই কুইন্সলাইন, নাগপুর অরেঞ্জ সিটি, চণ্ডীগড়, কুমায়ুন, গোয়া ইত্যাদি বিখ্যাত সব লিটারারি ফেস্টিভ্যালের তালিকায় এবার জুড়ল এই প্রাগজ্যোতিষপুর লিটফেস্টের নাম। এই ফেস্টিভ্যাল শুরুর আগে রাজ্যের নানান প্রান্তের কলেজে অনুষ্ঠান করে এই উৎসবের প্রচার চলে, সেখানে নবীন লেখক পাঠকদের মধ্যে অভূতপূর্ব সাড়া মেলে। প্রসঙ্গত এর আগেও অসম প্রকাশন পরিষদের উদ্যোগে গুয়াহাটিতে শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে বার তিনেক অনুষ্ঠিত হয় ব্রহ্মপুত্র সাহিত্য উৎসব।
Have an account?
Login with your personal info to keep reading premium contents
You don't have an account?
Enter your personal details and start your reading journey with us
Design & Developed by: WikiIND
Maintained by: Ekhon Dooars Team