বহতা সময় দ্রুত চলে যায়। স্রোতের মতো আনাগোনা মানুষের। টাইপ মেশিন, তার পাশে জেরক্স মেশিন, তারও পাশে বসানো প্রিন্টার! মেশিনঘর পেরিয়ে বারান্দা, বারান্দায় বসে খাতাপত্র বিক্রি করে আর মানুষ দেখে, টাইপ মাস্টার বিশুদা। প্রশ্ন করি, সে (টাইপ রাইটার) কি আছে? না গেছে?
আছে। প্রবল আত্মবিশ্বাসী বিশুদা বলে, যা আছে আর যা গেছে কোনটাই কি আর বাদ দেওয়া যায়? অর্থাৎ কিছুই বাদের খাতায় নেই। সবই আছে।
কথাবার্তা চলে। কথায় কথা বাড়ে। দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নামে। বিশুদা বলে চলল, কতো বদলে গেল শহর চোখের নিমেষেই। শহর বলতে আগে তো ছিল দুটি পাড়া। মহানন্দা পাড়া আর বাবু পাড়া। তারপর শহর বড় হতে থাকল। বড় হতে গিয়ে বদলে গেল তার চরিত্র। না পেল নগরের তকমা, না হল ছিমছাম গোছানো একটা শহর-- এ তো সেই ঘরেরও নয়, পারেরও নয় গোছের ব্যাপার। তেমন শহরের ইতিকথাই শোনো না হয়!
শিলিগুড়ি শহরের পাড়া, গলি, রাজপথ, কলোনি সবের অবস্থাই ওই বিশুদার টাইপ মেশিনের মতো। নেই অথচ আছে।
স্বাধীনতার পরে শিলিগুড়ি ছিল হাজার দশেক লোকের বসতি। অনেকেই এ সময়ের শিলিগুড়িকে শহরের তকমাও দিতে চাননি। শিলিগুড়িতে এ সময় থেকেই নানা জাতির ও নানা ধর্মের মানুষের সহাবস্থান গড়ে উঠেছিল। পাড়া বলতে মহানন্দা নদীর গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা মহানন্দা পাড়া, আর টাউন স্টেশন সংলগ্ন মহাবীরস্থান ও বাবুপাড়া। আর ছিল রেলওয়ে কলোনি। এবং স্থানীয় অধিবাসীদের নামাঙ্কিত জোত। এই জোতগুলি ভেঙে পরবর্তীকালে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন পাড়া। আর ছিলেন কিছু খ্যাতনামা মানুষ ও তাদের বাড়ি। তাদের নামে পাড়া কিংবা রাস্তার নাম হতেই পারতো, অন্তত শহরের সংস্কৃতি তাতে ধরা পড়তো, কার্যত তা অবশ্য হয় নি। যথাসময়ে সেই সব বাড়ির কথাও আলোচনায় আসবে।
মহানন্দা পাড়া ছিল শিলিগুড়ির মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া মহানন্দা নদীর নিকটবর্তী এলাকা। আর ছিল বাবু পাড়া। পাট কোম্পানি, চা বাগান এবং সদ্য গড়ে ওঠা কিছু সরকারি অফিসের করণিকদের বাসস্থান হয়ে ওঠে যে অঞ্চলে তাই বর্তমানের বাবু পাড়া। শিলিগুড়ি থানার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ছিল আগে থানা পাড়া-- সেই নাম অবশ্য এখন আর নেই। বর্তমানে থানার সামনে দিয়ে যে স্টেশন ফিডার রোড তার পিছনে মিশ্র জাতি সমন্বয়ে একটি পাড়া গড়ে ওঠে; সেখানে ছোট বড় ব্যবসায়ী, আইনজীবি, বাংলা ও হিন্দিভাষী লোকজন একত্রে বাস করতে থাকেন-- এলাকাটির নাম হয় মিলনপল্লী।
আর ছিল বিভিন্ন জোত। সেই সব জোত ভেঙে তৈরি হল পাড়া। দর্পনারায়ণ চৌধুরী জোত নামে পরিচিত ছিল যে অঞ্চল সেখানে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মচারিদের বাসস্থান গড়ে উঠতে থাকল, এলাকাটির নাম হলো হাকিম পাড়া। বাবু পাড়াও আগে ছিল রায় সরকারের জোত, মিলনপ্ললী ছিল হরসুন্দর জোত ইত্যাদি। হাকিমপাড়া বলতে একসময় যে বিস্তৃত অঞ্চল বোঝাত বর্তমানে তার অলিগলি নানা নামে চিহ্নিত-- বলাইদাস চ্যাটার্জী রোড, গিরীশ ঘোষ সরণী, বিবেকানন্দ স্ট্রিট, শান্তি মোড় প্রভৃতি। এর কোনওটি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, কোনওটি স্মরণীয় মহাপুরুষদের নামাঙ্কিত। পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লী এবং রবীন্দ্রনগর অঞ্চলটি গড়ে উঠেছে কিছু পরে। রবীন্দ্রনগর এলাকায় কিছু শ্রমিক এবং পাশ্ববর্তী অঞ্চলে পটুয়ারা বাস করতে থাকেন, এ অঞ্চলটির নাম বর্তমানে পাল পাড়া। সংলগ্ন রথখোলা অঞ্চলটি ছিল গোলাঘাট সিংহ জোত। রথের দিনে বড় মাঠে রথ রাখা হতো এবং এখনও হয়-- সংগত কারণেই অঞ্চলটির নাম রথখোলা।
আশ্রমপাড়া অঞ্চলটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পাড়া হিসেবে গড়ে ওঠে। দুটি বিশ্বযুদ্ধ অতিক্রান্ত সময়ে সুদুর বর্মা থেকে এসময় শতাধিক বর্মী পরিবার উক্ত অঞ্চলে বসবাস শুরু করে। তাদের বাসস্থান ছিল খড়ের ছাউনি নির্মিত আর বাড়ির সামনের উঠোনে থাকতো ফুলের বাগান-- আশ্রম সদৃশ মনোরম পরিবেশের কারণে অঞ্চলটির নাম পরবর্তীকালে আশ্রম পাড়া হয়েছে বলে অনুমান করা হয়। সংলগ্ন হায়দার পাড়া এলাকাটি ছিল হায়দার সিংহের জোত এলাকা। তা থেকেই পরবর্তীকালে হায়দার পাড়া। খাল পাড়া অঞ্চলটি বর্তমানের স্টেশন ফিডার রোড অতিক্রম করে উত্তর দিকে অবস্থিত। একসময় অঞ্চলটি ছিল অপেক্ষাকৃত নিচু ও জলাজমিতে পূর্ণ এবং বিরলবসতি। জনশ্রুতি বর্তমানে সুভাষপল্লী অঞ্চল পেরিয়ে যে ঘোঘোমালি অঞ্চল তা বৈকুন্ঠপুর অঞ্চলের এক পুজারি ঘোঘোর নামাঙ্কিত জোত ছিল। উক্ত পূজারি রাজবাড়ীর মালির কাজও করতেন। তাই এমন নামকরণ হয় পরবর্তীকালে।
একইভাবে বর্তমান বিধান রোড সংলগ্ন ক্ষুদিরাম পল্লী অঞ্চলের নাম নিয়ে মতভেদ আছে। কারও মতে শহীদ ক্ষুদিরামের স্মরণে তৈরি এই অঞ্চল, কেউ শহরের খ্যাতনামা ব্যক্তি সুরেন ভট্টাচার্যের পুত্র ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের নামেই এই পাড়ার নামকরণ বলে মনে করেন। একইভাবে, কর্মবাহাদুর গুরুং এর নাম প্রভাব রয়ে যায় গুরুং বস্তি এলাকার নামে। কুস্তিগির মল্লবীর-এর নাম মাহাত্ম্য থেকে যায় মাল্লাগুড়ির নামে। সম্ভ্রান্ত ভরত ঘোষের নামে রিফুজি কলোনি হয়ে ওঠে অধুনা ভারত নগর। আর তার পাশেই একদা ডোবা পরিপূর্ণ অঞ্চলে ঘিরেও তৈরি হয় যে উদ্বাস্তু কলোনি তার নাম হয় ডাবগ্রাম।
টিকিয়াপাড়া নামকরণের নেপথ্যে রয়েছে কাঠকয়লার গুঁড়ো দিয়ে তৈরি হয়ে ওঠা 'টিকা' যা তামাকের অন্যতম উপকরণ এবং ধুনুচিতেও ব্যবহার করা হয়। সে যাই হোক, যে অঞ্চলে তৈরি হতো এই টিকে বা টিকা তাই পরে টিকিয়াপাড়া নামে পরিচিত হয়। বাচ্চু মিয়ার জোত বলে পরিচিত ছিল যে অঞ্চল সেখানে তৈরি হয় শিলিগুড়ি কলেজ (১৯৪৮খ্রি.)। আশপাশে বেশ কিছু হাই স্কুল ও প্রাইমারি স্কুলও গড়ে ওঠে। স্থান মাহাত্ম্যে এলাকাটি পরিচিত হয় কলেজ পাড়া নামে। দেশবন্ধু পাড়া ছিল বীর সিংহ, ফলেন সিংহের নাম চিহ্নিত জোত। বর্তমান শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন, যা পুরনো স্টেশন নামেও পরিচিত, সেখানে পা রেখেছিলেন মহাত্মা গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ প্রমুখ। ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে দেশবন্ধু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দার্জিলিং-এ। তাঁর মরদেহ ট্রয়ট্রেনে করে শিলিগুড়ি ছুঁয়ে যাত্রা করে কলকাতার উদ্দেশে। পুরনো স্টেশন ও মহাবীরস্থান অঞ্চল পেরিয়ে উক্ত জোত পরিচিত হয় দেশবন্ধু পাড়া নামে।
মহানন্দা নদীর উত্তর অংশে, শৈলশহর দার্জিলিং যাতায়াতের রাস্তায়, একটি সেনা ছাউনি ছিল। এ অঞ্চলটি পরিচিত ছিল ইসমাইল চৌধুরীর জোত নামে। পরবর্তীকালে এটিই পরিচিত হয় --প্রধান নগর নামে। নামটিতে নেপালি জাতির মধ্যে প্রচলিত প্রধান পদবীর প্রভাব থেকে যেতে পারে-- কারণ এসময় নেপালিদের অনেকেই ব্রিটিশদের রেজিমেন্টে ছিলেন, তাদের এতদঞ্চলে বসতি গড়ে তোলা সম্ভবপর বলেই মনে হয়। শক্তিগড়, লেকটাউন চম্পাসারি, রবীন্দ্রনগর, অরবিন্দপল্লী-- ক্রমে শহর বেড়েছে আরো। মূলত ষাটের দশকের শেষদিক থেকে আরও অনেক পাড়া গড়ে উঠতে থাকে।
পাড়ার গল্প শুনেটুনে বিশুদা বললো, হুম্। কিন্তু, এ ছাড়াও আরো অনেক আছে। রাস্তা আর কলোনির গল্প কী জানো কও দেখি। বিশুদা হঠাৎ মাস্টার মশাই হয়ে ওঠে। আমি জবাবদিহি করি, সব কী আর জানি! যা পাই ওই কুড়িয়ে বাড়িয়ে। সব গল্প ঠিকঠাক নাও মিলতে পারে! বিশুদা এবার ঠিক ফরিদপুরিয়া ভাষায় বলে, ও, ঠিকভুল সে আমি বুঝবানে। তুমি কইতে থাকো।
রাস্তা বলতে তো মূলত সেভকরোড, হিলকার্ট রোড আর বর্ধমান রোড। ১৮৮৭ সালে দার্জিলিং ইমপ্রুভমেণ্ট ফাণ্ডকে শিলিগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পথঘাটের মধ্যে তখন যে রাস্তাটি প্রধান ছিল তার নাম গ্যাঙ্গেস রোড। এই রাস্তাটিই এখনকার বর্ধমান রোড। প্রায় পঞ্চাশ ফুট চওড়া, একশো পঁচিশ মাইল দীর্ঘ এই রাস্তাটি পূর্নিয়া, কাটিহার, কিশনগঞ্জ শিলিগুড়ি হয়ে কার্শিয়াং পর্যন্ত বিস্তৃত। এই রাস্তা নির্মাণে ব্রিটিশদের সহযোগিতা করেন তৎকালীন বর্ধমানের মহারাজা। তার নামেই রাস্তার নাম। বর্ধমান রোডের বিস্তার মহানন্দা সেতুতে হিলকার্ট রোডে মিশেছে। এরপরেই হিলকার্ট রোড আর সেভক রোড। হিলকার্ট রোড অতীতে ছিল খুবই সংকীর্ণ রাস্তা। নাম থেকেই স্পষ্ট অধুনা ব্যস্ততম রাস্তাটি একদা ছিল অনুপযুক্ত ও গোযান চলার মতোই। সেভক রোডও ছিল সংকীর্ণ এবং তার দুপাশে ছিল বন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। আর আছে স্টেশন ফিডার রোড। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান রোড থেকে শিলিগুড়ি স্টেশন অবধি যে রাস্তা নির্মিত হয় সেটিই স্টেশন ফিডার রোড। হিলকার্ট রোড নির্মিত হয় ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। বারবার সংস্কার ও সম্প্রসারণ উন্নয়ন হয়েছে এই রাস্তার। শহর শিলিগুড়ির ব্যস্ততম রাস্তা বর্তমানে হিলকার্ট রোড।
শহরের অন্যতম রাস্তা শিলিগুড়ি রোড স্টেশনে পৌঁছনোর বর্তমান নাম হাসমি চক। নাট্যকার সফদর হাসমির নামাঙ্কিত এই রাস্তা থেকে একটি প্রান্ত চলে যাচ্ছে ব্যস্ততম রাস্তা বিধান রোড ধরে শালুগাড়ার দিকে। আরেকটি হিলকার্ট রোড, সেভক রোড, মাল্লাগুড়ি হয়ে, দার্জিলিং মোড় পেরিয়ে জাতীয় সড়ক ধরেছে। যানজট বহুল দার্জিলিং মোড় থেকে একটি রাস্তা উঠে যাচ্ছে পাহাড়ের দিকে। আরও অনেক ছোট বড় রাস্তা ঘিরে আছে শহর শিলিগুড়িকে। নতুন নতূন রাস্তা উদ্ভব হচ্ছে, অনেক চেনা গলি অচেনা হয়ে যাচ্ছে, পুরোনো নাম বদলে যাচ্ছে, কোনো রাস্তা দেখে নাম মনে হচ্ছে অদেখা অচেনা। পা রাখলেই মনে হচ্ছে এত চেনা রাস্তা এভাবেও বদলে যেতে পারে?
আর আছে কলোনি ও বস্তি। যে কোনো ছোট বড় শহরের মতোই কলোনি ছড়িয়ে রয়েছে এখানে। পুরোনো রেল কলোনি কিছু আছে, কিছু নেই। নতুন নতুন বস্তি গড়ে উঠেছে। এসব নিয়েই শহরের এলোমেলো চলা। শিলিগুড়ি শহরে বর্তমানে ১৫০টির মতো কলোনি আছে-- ক্ষুদিরাম কলোনি, মহানন্দা কলোনি, বাঘাযতীন কলোনি,গুরুং বস্তি, জ্যোতিনগর কলোনি, লিচু বাগান বস্তি, মাতঙ্গিনী কলোনি, ফুলেশ্বরী কলোনি, সূর্যসেন কলোনি, শহীদ কলোনি, প্রমোদ নগর কলোনি প্রভৃতি। সবচেয়ে পুরোনো কলোনি বি.আর.আই কলোনি। আর সবচেয়ে বড় কলোনি পাতি কলোনি। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে যেসব উদ্বাস্তু কলোনি গড়ে উঠেছিল শিলিগুড়ি শহরে তার কয়েকটি ছিল সরকার অনুমোদিত-- এক নং ও দুই নং ডাবগ্রাম এবং মাটিগাড়া। ১৯৭১ সালের মধ্যে অনেক সরকারি খাসজমিতে শরণার্থীরা আশ্রয় গ্রহণ করে ও সেখানেই থেকে যায়। শিলিগুড়ি পৌরসভার বেশিরভাগ কলোনিই এইরকম। এখন অবশ্য অনেক কলোনি তাদের নিজ নাম হারিয়ে ফেলেছে এবং শহরের অন্য অংশের সঙ্গে মিশে গেছে।
আর আছে পুরনো বাবুপাড়ার আলো চৌধুরী মোড়। কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী যিনি ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শিলিগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি সমধিক পরিচিত ছিলেন আলো চৌধুরী নামে। তাঁর সময় থেকেই পৌরসভার কার্যক্রমে নানা পরিবর্তন আসে ও গতি সঞ্চার হয়। শিলিগুড়ির শহরের রূপায়ণে তাঁর ভূমিকা মনে রেখে তাঁর বাসস্হান সংলগ্ন রাস্তাটির নাম তাঁর নামাঙ্কিত করার ফলে শ্রদ্ধার সঙ্গে অতীত স্মরণযোগ্যও হয়ে ওঠে। একইভাবে শিলিগুড়ি শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস নামাঙ্কিত হয় শ্রদ্ধেয় পর্বত আরোহী তেনজিং নোরগের নামে। আমরা চাই শহর ও পার্শ্ববর্তী কৃতী ও স্মরণযোগ্য ব্যক্তিদের নাম গুরুত্ব পাক স্হাননামে, যাতে করে আঞ্চলিক ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে কৌতুহলোদ্দীপক হয়ে ওঠে।
গল্প করতে করতে বিশুদার মুখে বিষাদ। বলল, মেঘে মেঘে বেলা তো কম হয় নাই। আজ থাক, বাকি কথা পরে হবে!
টাইম মেশিন ঘুরে যায়, অতীত থেকে বাস্তবে ফিরি আমরা। বিশুদার ঘরে এককোণে কাৎ হয়ে পড়ে থাকে বন্ধ টাইপ রাইটার...
Have an account?
Login with your personal info to keep reading premium contents
You don't have an account?
Enter your personal details and start your reading journey with us
Design & Developed by: WikiIND
Maintained by: Ekhon Dooars Team