সেবারই প্রথম একেবারে অন্যরকম মানে খানিকটা নতুন রাজ্যজয়ের আনন্দ-বেলুন বাতাসে উড়িয়ে মেলার মাঠে পদার্পণ করা গেছে। গিয়েছি না বলে পদার্পণ শব্দটাই লিখলাম। এর আগের সব বইমেলায় যাওয়াগুলো ছিল নির্ভার আনন্দভ্রমণ; বই বাছা,পকেট বুঝে ক্রয় করা, সাধ্যে না কুলানো গ্রন্থমালার স্পর্শ নিয়ে খানিক এধার-ওধার টহল মেরে গৃহের পথে হাঁটা। প্রিয় বইগুলো ব্যাগে, খুশি ভরপুর মনে গৃহাভিমুখে গমন; সে চলার ছন্দই আলাদা। কিন্তু এবারে, আশ্চর্যের আশ্চর্য! ছোট্ট রোগা পাতলা, ক্ষুদ্রাকৃতি, ফিলফিলে চেহারার সম্পাদিত পত্রিকা বা ফোল্ডারটি বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন স্টলে, ছোট্ট একটি টেবিলের একটি কোণে অতি যত্নে সাজিয়েছি যে। কী যে আনন্দ হচ্ছে সে আর কি বলি। তবে চাপা আনন্দ সঙ্গে খানিক আশংকার মেঘ জমে মনের আকাশে!
যদি প্রশ্ন করেন, আনন্দ তা সে বেশ কথা কিন্তু অমন চেপেচুপে কেন আর আশংকাই বা কীসের? আশংকিত হয়ে পত্রিকা প্রকাশ করার দিব্যিই বা কে দিল মশাই আপনাকে? হ্যাঁ উত্তর আছে বইকি। আনন্দ, কারণ সেই শুভ মহরৎ সংখ্যায় কয়েকজন ছাড়া বাকি সব লেখাই নতুন কলমের। কতিপয় কবিতা, গঙ্গাসাগর মেলা ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি আখ্যান, একজন মহিলা উদ্যোগপতির বলিষ্ঠ একটি গদ্য। সে লেখা থেকে উল্লেখ করছি—“প্রাগৈতিহাসিক যুগের মুক্ত নারীরা মধ্যযুগে বন্দী হলেন এক ঘোর অমানিশায়। ফের ধীরে ধীরে অবরোধ ভেঙেছেন তারা, সে সংগ্রাম নানা কান্নার। অনেকটা মুক্ত হলেও...পরিপূর্ণ মুক্তির জন্য চাই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। স্বরোজগার। শিক্ষকতা,নানা সরকারী বেসরকারী চাকরীর বাইরে নারীদের খুব একটা দেখা যায় না! পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভুটানে বেড়াতে গিয়ে দেখেছি ৯৯% ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন নারীরা নিজস্ব ঢঙ ও বুদ্ধিমত্তায়, যা নারীদের একান্ত কর্মক্ষমতা ও স্বাধীনসত্তার পরিচয় বহন করে। স্বনির্ভর প্রকল্পে অনেক মহিলা এগিয়ে এসেছেন। সরকারও যথাসাধ্য সাহায্য করছে। সমাজের সমস্ত স্তরের নারীদের এই সুযোগ গ্রহণ করা উচিৎ। শত পথে নারীরা আরও আরও বিকশিত হোক। এভাবেই নারীরা কান্না ভুলে আপন ভাগ্য জয় করুক ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুক।” এ লেখা আত্ম বলে বলীয়ান এক নারীমানুষের উপলব্ধির কথা আর নারীর ভাগ্য জয় করার আহ্বানটি বড়ই পছন্দের।
পত্রিকাটি উৎসর্গিত হয়েছিল সে বছর ভয়ানক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অগণন প্রয়াত মানুষদের উদ্দেশে। সেইসঙ্গে বিশেষ শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছিল এই পত্রিকা ও সংগঠন তৈরীর মূল কান্ডারি প্রয়াত নির্মল কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়কে। যিনি বারংবার ফোন করে উৎসাহিত করতেন। কত বিষয়ে যে আলোচনা হত। তিনি বলতেন ঘর সংসার, চাকরি বাকরি চলুক কিন্তু নিয়মিত সাহিত্য চর্চার বিষয়টিতে প্রত্যক্ষ যুক্ত থাকা চাই। পুরুষমানুষের ক্ষেত্রে তাতে সমস্যা কিছু নেই কিন্তু মেয়েদের আছে। সংসারের চাপ আর আত্মবলের অভাবে সে মনের চাষ করে না, তাই তার অন্তরের উৎকর্ষতা কমই ঘটে। তারা একত্রিত হয়ে সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা করুক। বিখ্যাত হবার জন্যে নয়, মনের চাষটি যথাযথ ঘটাবার জন্য। যাইহোক এমন সব পর্বের পর সত্যি সংগঠনের মুখপত্র সে পত্রিকা হল। টিভি বা কাগজের সম্প্রচার দেখা-পড়া-ভুলে যাওয়া এটুকুই নয়, ছোট্ট সম্পাদকীয় লিখতে গিয়ে প্রতিবেশী দেশের মানুষের যন্ত্রণা যেন বেশিমাত্রায় উপলব্ধ হল! এ যেন নিজস্ব বৃত্তের বা গন্ডির বাইরের বিস্তারিত জগতকে নিজস্ব চেতনা ও অনুভব দিয়ে প্রত্যক্ষ করা, ছুয়ে দেখা; বিশ্বঘরে নিজের ঠাই খুঁজে পাওয়া।
প্রিয় লেখকের বই সংগ্রহ আর পাঠের মধ্যে ব্যক্তিগত সুখ, তৃপ্তি। লেখকের হাত ধরে নতুনতর, অপর ভুবনে পদচারণা, ভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে পরিচয়। কিন্তু নিজেদের পত্রিকার গল্পে, কবিতায়, অন্যান্য রচনায়, সম্পাদকীয়তে নিজের অনুভব, মতামত সজোরে বলা চলে। এবারে আনন্দ চেপেচুপে প্রকাশ বিষয়টা এরকম, সত্যি একটা কাগজ হয়েছে এবং এতকাল দূর হতে লক্ষ্যিত সেই লিটল ম্যাগাজিনের কষ্টার্জিত টেবিলে তার স্থান হয়েছে তাই আনন্দ।
অজস্র ক্ষুদ্র পত্রপত্রিকা বা লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়, আপনারা জানেন। মেলা কমিটি লিটল ম্যাগাজিনের জন্যে স্টল বরাদ্দ করেন। আলাদা স্টল নয়, বেশিরভাগই একাধিক টেবিলে বিভিন্ন পত্রিকা একসঙ্গেই সাজানো থাকে। সম্পাদকসহ লেখক বা উৎসাহীজন স্টলে বসেন, বিক্রিবাটার চেষ্টা সামান্যই। নিজেরাই হইচই করে মেলার দিনগুলি সানন্দে কাটিয়ে দেন। বেশ আনন্দময় আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশ। মিলন মেলাই বটে। অক্ষরের সেতু বেয়ে হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের মহতী মিলন, হৃদয়ের বিস্তার। মনন ও চিন্তনের আরও আরও দরজা খুলে যাওয়া। কত যে পত্রিকা, কতরকম তার বিষয়ের আয়োজন!
কথা হল লিটল ম্যাগাজিনের অলিখিত কিছু বিশ্বাস আছে। যেমন টগবগে তাজা তরুণ প্রাণই অক্ষর, ভাষা, শব্দের নতুনতর বিন্যাসে মানুষের চিন্তা চেতনার নতুন প্রবাহ তৈরি করে দিতে সক্ষম। নতুন লেখকদের সে আশ্রয় ও প্রশ্রয়। ওদিকে প্রবীনের চিন্তনে গতানুগতিকতার অভ্যাস, সুতরাং নতুন কথা কী আর তিনি বলবেন? সাহিত্যের নবতর নির্মাণ বিনির্মাণ বিষয়ে কীইবা তিনি জানবেন আর ভাব-ভাবনার জগদ্দল পাথর সরিয়ে নতুন সাহিত্য ধারাই বা শুরু করবেন কীভাবে? কথাগুলো একেবারে ভুল তো নয় বরং অনেকাংশে সত্যি। তা ব্যাপারটা সেখানেই। তরুণ বয়স্ক নই, তায় পেশায় শিক্ষক। স্বভাবতই পুরাতনী চিন্তা-চেতনার ধারক বাহকই হবেন নিশ্চিত! তাই ডিফেন্সিভ খেলাই ভাল আর নতুন কাজের আনন্দ চেপেচুপে রাখাই বিধেয় মনে হল। আর আশংকা ছিল স্ববিজ্ঞাপিত পণ্ডিতম্মন্য ব্যক্তিবর্গের কঠিন সমালোচনার।
যাইহোক সবই কাটিয়ে ওঠা গেল ধীরে ধীরে। আপ্তবাক্যটি হল কাজ করলে সমালোচনা হবে, কাজ না করলে সমস্যা নেই, সুতরাং মা ভৈ। তো এক প্রতিষ্ঠিত সম্পাদক মশাই বলেছিলেন বইপত্র লেখা বা সম্পাদনা সবই বাঘের পিঠে উঠে বসা মনে রাখবেন। বসলেন তো বসলেনই, কাজ করতে থাকুন; নামলেই বাঘের পেটে, এক্কেবারে গপাৎ। তা বাঘের ভয়ে নাহোক কাজ চলতে লাগল। সংসার, কর্মজগৎ সবেতে ব্যালান্স করে পত্রিকা প্রকাশ, বইমেলায় হাজিরা সবই চলল। আর সুখ দুঃখের টুকরো টাকরা জমল এসে অভিজ্ঞতার ঝুলিতে, শুনলে অবাক হবেন নিশ্চিত। দু চারটে শুনিয়ে দিই আপনাদের। আনন্দ-বেলুন ফুরফুরিয়ে তত সহজে আকাশে উড়তে কি আর পারে? কখন কোথা দিয়ে যে সেফটিপিন বা সূচের খোঁচায় এক্কেবারে ফুসসস!
বইমেলার মাঠে পদচারণা করি, এর তার সঙ্গে দেখা হয়, বই কিনি, চা কফি ইত্যাদিও চলে তবে কাঁধের ঝোলাতে দু-চারখান পত্রিকা সদাই মজুত। ভাবখানা সবাই আমাদের পত্রিকাটির জন্যে উদগ্রীব, এই বুঝি চেয়ে বসল। প্রবীন লেখক বা পরিচিত জনের হাতে তুলে দিই, অনেকেই পৃষ্ঠা উল্টে না দেখেই ব্যাগে ভরেন, কেউ বা ভাঁজ করে হাতে রেখে, মিষ্টি একটু হাসি উপহার দিয়ে আবছা বলেন “তোমাদের পত্রিকা, বেশ বেশ। খুব ভালো। আচ্ছা তবে এগোই, ওদিকটাই একটু...”। আবার একদিন স্টলে বসে আছি মাঠে বা বড় দোকানে ভিড় থাকলেও আমাদের ওখানে তত ভিড় নেই। হঠাৎ বেঁটেখাটো এক গেরুয়াধারী ধীর পায়ে এগিয়ে এলেন। অনেকক্ষণ ধরে বেশ ঝুঁকে পড়ে টেবিলে সাজানো বইগুলো নিরীক্ষণ করতে লাগলেন। বিস্মিত হয়ে ভাবি, দ্যাখো ঈশ্বরে আত্মসমর্পণ করেও সাহিত্য রস আস্বাদন করতে ভোলেননি। বাঃ বেশ তো! উনি একটি দুটি করে পত্রিকা হাতে তুলে নেন; নেড়েচেড়ে দেখেন। তার মধ্যে আমাদেরটিও রয়েছে দেখে বড়ই আনন্দ হল। তাহলে আজ সাধুর হাতে বউনি! উনি ঝোলায় সব ভরে, মাথা হেলিয়ে একটু হেসে ধীরে ধীরে পরের স্টলের দিকে এগিয়ে যান। ওমা! একী উনি দামটাম কিছুই দিলেন না, আমরাও মুখ ফুটে চাইতে পারলাম না। বড় আজব তো!
পত্রিকা হাতে পেয়ে এক লেখিকার ফোন। ভাবলাম পত্রিকা প্রাপ্তির জন্যে ধন্যবাদ ও নতুন সম্পাদককে অভিনন্দন জানাবেন। উঁহু এক্কেবারে শ্রীমতী ভয়ংকরী! রেগেমেগে অস্থির, ওনার কবিতায় একটা বানান ভুল রয়েছে। কেন তা হবে? বানানে সংশয় থাকলে কেন ওনাকে জিজ্ঞেস করা হল না? খুব খুব অবিচার হয়েছে কবিতাটির ওপর। এটা বরদাস্ত করা সম্ভব নয় ওনার পক্ষে। কবিতাকে হৃদয় দিয়ে ভাল না বেসে বা উপলব্ধি না করে খবরদার আমি যেন আর কবিতা না ছাপি। আমার হাতে ধরা চা একেবারে বিস্বাদ! আরেক লেখকের ফোন কবিতায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরণটি কাটা পড়েছে। এখন সে কবিতা অর্থহীন। এমনটি বাঞ্ছিত নয়। ওনাকে অনেকেই বারণ করা সত্বেও এমন এলেবেলে পত্রিকায় দয়া পরবশ হয়ে লেখা দিয়ে আজ গভীর আঘাত পেলেন। তাঁকে বোঝাতে চেষ্টা করি, দুবার করে প্রুফ দেখেছি, কিন্তু কীভাবে ফাইনালে গিয়ে কবিতার চরণ গায়েব হল বুঝতে পারছিনা! তিনি ঝটাক করে ফোন কাটেন।
ছোট্ট ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পত্রিকা প্রকাশ হবে। রোজ প্রেসে গিয়ে খোঁজ নিই, কাজ আর শেষ হয় না! ভরদুপুরে খটখটে রোদ্দুরের মধ্যে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘরে একটুও জায়গা নেই। অনুষ্ঠানের দিন নিজে বাড়ি বয়ে এসে সক্কালবেলা পত্রিকা দিয়ে যাবেন কথা দিয়ে আমাদের দুজনকে বিদায় করেন। মোটা সুতলি বাঁধা পত্রিকার দুটো বান্ডিল সত্যি নিয়ে এলেন বহুবার ফোন করার পর অনুষ্ঠানের দিন ভরদুপুরে। পয়সা পরের রোববারে নেবেন। মহানন্দে বান্ডিল খুলি। প্রচ্ছদ এঁকেছেন আমাদের সবার বড়দি তথা সংগঠনের সভাপতি মিনতি মজুমদার। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অতিথিরা থাকবেন। প্রচ্ছদে দুই সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির ছবি। কিন্তু একী! প্রতিটি পাতায় বরফির আকার নিয়ে লেখা সব যেন বাঁদিক ঘেঁষে কাতর ভঙ্গীতে আধশোয়া হয়ে! কতবার ফোন করি তিনি আর ধরেন না। কী দুঃখ! কী উদ্বেগ! এত যত্ন এত কষ্ট সব জলে! উনি গোটা দশেক বইও যদি ঠিকঠাক ছাপিয়ে দেন, বিদেশী অতিথিদের কাছে অন্তত মুখরক্ষা হয়। নাঃ সে গুড়ে বালি। কদিন বাদে উনি ফোন করেন পয়সার জন্যে। চলেও আসেন। এই কয়েক বছরে বেশ কড়া ধাঁচের হয়েছি, কষে ধমক লাগাই। “সব বই নিয়ে যান, ঠিক করে প্রিন্ট করে দিন। তারপর ফুল পেমেন্ট হবে।” কিছুটা অ্যাডভান্স দেওয়াই আছে। উনি চুপচাপ সব বইগুলো বান্ডিল বাঁধেন সাইকেলে চাপিয়ে অদৃশ্য হন। গেলেন তো সেই গেলেনই, আর এলেন না। কয়েকবার চক্কর কাটি প্রেসে। ওনার দেখা নাই রে ওনার দেখা নাই। ওই ট্যারাবেঁকা ছাপার কয়েক কপি ঘরেই পড়ে রইল।
তবে ভাববেন না সবই খুব মন্দ অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়েছে এই কাজ করতে এসে। প্রুফ দেখতে গিয়ে কত কত বিষয় পাঠ করা গেল, কত গল্প কবিতা পাঠ হল। কত চমৎকার লেখক সংগঠক সাহিত্যপ্রেমী মানুষের সঙ্গে পরিচয় ঘটল, আত্মীয়তাই হল বলা চলে। কত স্বনামধন্য লেখক তাঁদের রচনা দিয়ে সমৃদ্ধ করলেন পত্রিকাটিকে! কত জায়গায় যাওয়া হল, স্টল সাজিয়ে বসা হল। আলাপ পরিচয় হল, ভাবনার বিনিময় হল। রাত জেগে জেগে গল্প কবিতার আড্ডা, হাসি ঠাট্ট গান গল্প আরও কত। সে সবই এই ক্ষুদ্র জীবনের মহামূল্যবান প্রাপ্তি। টিপ্পনি, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, অবহেলা এসব কিছু গায়ে লাগেনা মোটেই। বিষয়টি ভালবাসা আর ভাললাগার। লাভ লোকসানের টানা খাতা ছিলনা তো। কোথায় সে বরাক উপত্যকা, বাংলাদেশ, ত্রিপুরা, দিল্লি, মুম্বই, ধুপগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, মেখলিগঞ্জ, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, মামদা, বার্মিংহাম, দুর্গাপুর সব মিলেমিশে একাকার, অক্ষরের গহীন বাঁধনে আবদ্ধ! পত্রিকা সম্পর্কিত আরও কিছু মিঠে কড়া গল্পগাছা বাকি রয়ে গেল পরে আবার শোনাব নিশ্চয়।
Have an account?
Login with your personal info to keep reading premium contents
You don't have an account?
Enter your personal details and start your reading journey with us
Design & Developed by: WikiIND
Maintained by: Ekhon Dooars Team