দু হাজার একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রাজনগর কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ ঘোষণার তোড়জোড় চলছে। রাজ্য সরকার এই কাজের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। খড়গপুর আইআইটির একটি বিশেষেজ্ঞ দলকে এই কাজের রূপরেখা তৈরির জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। জেলায় গঠিত হয়েছে একটি হেরিটেজ কমিটি। মূলত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিবিড় চিন্তাভাবনা ও ঐকান্তিক ইচ্ছার ফলশ্রুতি এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে শিল্পবিহীন কৃষিনির্ভর এই জেলায় হেরিটেজ এবং পিলগ্রিম ট্যুরিজম বলয় গড়ে উঠবে, যার ফলশ্রুতিতে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে-- এমনটাই ছিল এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। পর্যটন পরিকাঠামো উন্নত হলে এই এলাকায় দেশি বিদেশি পর্যটক আগমন ঘটবে যার ফলে সরকারি রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। সেই অর্থ আগামীতে পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা সম্ভব হবে। এই মহত্ উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখেই এই ঘোষণা হয়েছিল।
রাজ্যের কেন, দেশের আর পাঁচটা শহরের সাথে কোচবিহারকে মেলাতে পারি না। গোটা ভারতের পুরোনো শহরগুলোর মধ্যে একমাত্র মহীশূর ছাড়া আর কোনও শহরের সাথে আমি কোচবিহারের খুব একটা মিল খুঁজে পাই নি। প্রায় দেড়শো বছর আগে কোচবিহারের মহারাজারা বিলেত থেকে নগর স্থপতি এনে এই শহরের পত্তন করেছিলেন। সেই সুদৃশ্য চেনা শহরের ছবি কিছুটা বদলে গেছে ১৯৫৪ সালের বন্যায়। বাকিটা ধীরে ধীরে চোখের সামনে থেকে হারিয়ে গেল এই জেলার ভারতভুক্তির পর থেকে। রাজ আমলে তিল তিল করে সাজানো যে সুন্দর শহরটার ছবি জন্মাবধি আমার মানসপটে আঁকা ছিল তা খুঁজে পেতে গেলে আজ স্বপ্নের কাছে ছুটে যেতে হয়। কোথায় হারিয়ে গেল ভবানীগঞ্জ বাজারের ঘণ্টিঘর...!
মূলত বাম আমল থেকেই এই শহরের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়েছে। চোখের সামনে রাজপ্রসাদ থেকে মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে গেল। প্রাসাদের আসবাবপত্র লুট হয়ে গেল। গ্রন্থাগার থেকে ট্রাকে ট্রাকে দুস্প্রাপ্য বইগুলো বাইরে পাচার হয়ে গেল। এমনকি প্রাসাদের রেলিংগুলোও উধাও হতে শুরু করে দিল একটু একটু করে। প্রসাদের আস্তাবল ভেঙে লুট করে নেওয়া হলো। ভেঙে গুঁড়িয়ে লুট করে নেওয়া হলো বিবেকানন্দ স্ট্রিটের শেষ প্রান্তে অবস্থিত মহারাজদের গোটা পিলখানাটি। ধ্বংস করে দেওয়া হলো প্রাসাদ চত্বরে অবস্থিত রাজকন্যাদের পুতুল খেলার ঘর (ডলস হাউস), মহারাজার স্কোয়াশ রুম। প্রকাশ্যে দিবালোকে নীলকুঠিতে বিমানবন্দর সংলগ্ন “সুপারিণ্টেনডেণ্ট হাউস” (যে বাড়িটিতে পরবর্তীকালে রাজকুমার ইন্দ্রজিত্ নারায়ণ থাকতেন) নামের প্রাসাদটি ভেঙে গুঁড়িয়ে ইঁট-কাঠ-দরজা-জানলা লোহার কড়িবর্গা পর্যন্ত ট্রাকে ট্রাকে পাচার হয়ে গেল বাইরে। খোদ পুলিশ সুপারের বাংলোর উল্টো দিকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্মারককে জেলা প্রশাসনের চোখের সামনে ধ্বংস করে দেওয়া হলো। সরকারি উদ্যোগে ভেঙে ফেলা হলো জেঙ্কিন্স স্কুলের পশ্চিম দিকে অবস্থিত আচার্য ব্রজেন্দ্র নাথ শীলের সরকারি আবাসন ‘ব্রজভিলা’। নির্লিপ্ত প্রশাসন বসে বসে সব কিছু দেখে গেলেন। রাজতন্ত্রের ঐতিহাসিক স্মৃতিস্মারকগুলি একে একে বিলীন হয়ে যাওয়া ‘মনোরম’ দৃশ্যের মতই তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন এ রাজ্যের তদানীন্তন প্রগতিশীল কমিউনিষ্ট শাসকরা।
এখানেই শেষ নয়। বাম আমলে কোন এক অতিবিজ্ঞ নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ডে শহরের ফুসফুস সাগরদিঘীকে সাজিয়ে তোলার নাম করে কংক্রিট আর লোহার খাঁচায় অবরুদ্ধ করে দেওয়া হলো। দিঘীর চারধারের সবুজ ঘাসের নর্দমা অবলীলায় বুঁজিয়ে দিয়ে তার ওপরে পথচারীদের চলার ফুটপাত তৈরি করে দেওয়া হলো রাতারাতি। ফুটপাত হয়েছে ভাল কথা, কিন্তু নিচ দিয়ে জল নিকাশী নর্দমাটা থাকলে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত! জন্মাবধি কোনদিন শহরের সব থেকে উঁচু এলাকা সাগর দিঘীর পারে জল জমতে দেখিনি। নর্দমা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এক পশলা বৃষ্টিতেই সাগরদিঘীর চার ধারের রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে। মানুষের বিড়ম্বনা বাড়ছে। এবার রাজ আমলের এই নয়নাভিরাম দিঘীর চার ধারে রাজ্য সরকারের উদ্যান ও কানন শাখার অনভিজ্ঞ কিছু অধিকারিকের পরামর্শে রোপণ করে দেওয়া হলো নানা জাতের বনজ বৃক্ষের বীজ, যা আজ মহীরুহে পরিণত হয়ে গোটা দিঘীর জলকে কলুষিত করে তুলেছে। এর ফলে রোদের পথ আটকে গেছে। গাছের পাতা দিঘীর জলে পড়ে পড়ে পচে গিয়ে জল দূষিত হয়ে যাচ্ছে। এরপর জলে ভাসছে পলিথিন আর থার্মোকল। বেশ কয়েক বছর ধরে পরিযায়ী পাখিরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সাগরদিঘী থেকে। শহরের মানুষ সাগরদিঘীর বন্ধন মুক্তি চায়।
বাম সরকার এখন জাদুঘরে। অনেক দেরিতে হলেও, শুধু সাগরদিঘী নয় গোটা রাজনগরের আমূল সংস্কার করে তাকে হেরিটেজ শহরের মর্যাদা প্রদানের এই উদ্যোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে সাধুবাদ জানতেই হয়। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে প্রায় দুবছর আগে। কিন্তু এই কাজের গতি প্রকৃতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গোটা কাজের কোনও নিরীক্ষণ (monitoring) নেই। প্রশ্ন উঠেছে এই মহতী প্রকল্প রূপায়নে নিয়োজিত বিভিন্ন দফতরের কাজের সমন্বয় নিয়ে। কথা ছিল হেরিটেজ ঘোষণার আগে, এক সাথে সব দপ্তরের সমন্বয়ে এই শহরের উন্নয়ন কাজ চলবে। যেমন পুরসভা, পূর্ত, বিদ্যুত্, জনস্বাস্থ্য কারিগরী, ভূমি সংস্কার, মত্স প্রভৃতি দফতরের সমন্বয়ে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায় নি। উলটে যে যার মতো কাজ করে চলেছে। এর ফলে বিস্তর সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে।
যেমন পূর্ত দফতর নির্মিত মহার্ঘ ম্যাষ্টিক রাস্তা বা পুরসভার বসানো পেভার্স ব্লক ভেঙে দিয়ে প্রথমে জলের পাইপ বসানো হলো। তারপর বিদ্যুত্ বিভাগ মাটি খুঁড়ে নিচ দিয়ে কেবল নিয়ে গেল। পরে আর রাস্তা সংস্কার তো দূরের কথা, ঢিপি বা গর্ত কোনোটাই ঠিক করে দেওয়া হল না। দামী পেভার্স ব্লকগুলো একটু একটু করে চুরি হয়ে গেল। কুছ পরোয়া নেই। লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন! হেরিটেজ শহরে ওভারহেড লাইন থাকবে না। বিদ্যুত্এর খুঁটি রাস্তা থেকে উঠে যাবে, ভাল কথা। কিন্তু পথচারিদের চলার রাস্তা সঙ্কীর্ণ করে দিয়ে শহরের সর্বত্র বসছে অজস্র ট্রান্সফর্মার আর এমসিপি বোর্ড। বিদ্যুত্ দফতরের কাজও চলছে কচ্ছপ গতিতে। কবে শেষ হবে তা “দেবা ন জানন্তি, কুতো মুনষ্যা”। রাস্তা দখল করে সরকারি উদ্যোগেই অপরিকল্পিতভাবে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু পে-টয়লেট। আগামীতে বর্ধিত জনসংখ্যা আর যানবাহনের চাপ কমাতে শহরের অনেক রাস্তা সম্প্রসারণের আর কোনও উপায় নেই! এ সব নিয়ে কারো হেলদোলও নেই!
ভারতে অন্তর্ভুক্তির সময় এই শহরের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৬-৭ হাজার। এখন যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। এরপর শহরতলি ও মহকুমাগুলো থেকে প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ সরকারি বা বেসরকারি কাজকর্ম এবং রুজি রুটির তাগিদে এই শহরে ছুটে আসেন। রাস্তাঘাট দখল করে, রাস্তা জুড়ে ঠেলা গাড়িতে করে ব্যবসা বাণিজ্যে চলছে অবাধে। রাস্তা ক্রমেই সঙ্কীর্ণ হচ্ছে। যানবাহনের চাপ বাড়ছে। পার্কিং প্লেস ছাড়াই বহুতলগুলোর প্ল্যান মঞ্জুর হয়ে যাচ্ছে কোনো এক অজানা কারনে। রাস্তার উপর যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকছে ঘন্টার পর ঘণ্টা। সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক যানজট। গোটা শহর থমকে যাচ্ছে। যান চলাচলের বিন্দুমাত্র নিয়মকানুন মানা হয় না এই শহরে। গতিধারার চাপে এই শহরের গতি মন্থর হয়ে যাচ্ছে। এর উপর আছে টোটো আর ট্রেকারের দাপট। মানুষ রাস্তা চলতে পারছে না। দুর্ঘটনা বাড়ছে। এরপর এই শহরে যানবাহনের এয়ার হর্নের কর্ণভেদী আওয়াজ পথচারিদের উপরি পাওনা।
বহু বাড়ির ও দোকানের মালিক সরকারি নর্দমা ইচ্ছেমত উঁচু করে কংক্রিটের স্ল্যাব বসিয়ে রাস্তায় জমা বৃষ্টির জল নর্দমায় যাবার পথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে রাস্তায় জল জমছে, রাস্তা ভাঙছে। হেরিটেজ ঘোষিত হওয়ার আগেই শহরটা হরি ঘোষের গোয়ালে পরিণত হয়েছে। শহরের অসংখ্য জলাশয়কে ইতিমধ্যেই বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। এক শ্রেণীর অসাধু সরকারি কর্মীর যোগসাজসে জলাজমির চরিত্র রাতারাতি বদলে সেখানে ঘরবাড়ি নির্মিত হয়েছে। আর যে কয়েকটি সরকারি জলাভূমি এই শহরের হৃদযন্ত্রকে এখনো সচল রেখেছে, সংস্কার অথবা পার বাঁধাই এর নামে সে গুলোর আয়তনও ধীরে ধীরে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানিকভাবে এই কাজ চলছে। বছরের পর বছর ধরে অনেক সরকারি জলা বুজিয়ে সেখানে বসত গড়ে তোলা হয়েছে। এমনকি বন্যার সময় শহরের অতিরিক্ত জল নির্গমনের জন্য তোর্ষার বাঁধে ১৯৫৪ সালে বন্যার পর নির্মিত স্লুইস গেটগুলোকে পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শহরের সর্বত্র যথেচ্ছ ভাবে, এমনকি কোথাও কোথাও পথচারিদের হাঁটার রাস্তা অবরোধ করে হোর্ডিং বসিয়ে গোটা শহরে চুড়ান্ত ভাবে দৃশ্য দূষণ ঘটানো হচ্ছে। যান চালকদের মোড় ঘুরতে সমস্যা হচ্ছে। স্কুল, কলেজ, পুলিশ লাইন, সামরিক বাহিনীর ব্যারাকও ঢেকে গেছে বিজ্ঞাপনী হোর্ডিংএর অবগুণ্ঠনে। শহরের রাস্তায় দৃষ্টি নন্দন হাইমাস্ট বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং নির্মিত হয়েছে। কিন্তু যত্রতত্র দৃশ্য দূষণ করে গড়ে ওঠা হোর্ডিংগুলো আগে যেমন ছিল, ঠিক তেমনি আছে। পুরসভাকে মাশুল দিয়ে নাকি যা ইচ্ছা তাই করা যায় এই শহরে! এক কথায় রাজনগরের মুখ ঢেকে গেছে বিজ্ঞাপনে।
খোলা নর্দমায় প্লাস্টিক আর জঞ্জাল পড়ে জল নিকাশী ব্যবস্থাকে রুদ্ধ করে দিচ্ছে। হেরিটেজ রক্ষার সাথে সাথে শহরকে দূষণ মুক্ত রাখতে আধুনিক ভূগর্ভস্থ নিকাশী নর্দমা (কভার্ড ড্রেন) ভীষণ ভাবে জরুরি। ভারতের নাম করা শহর এমন কি বিশ্বের অন্তত দশ-এগারোটি আধুনিক ও প্রাচীন শহর ঘুরে আমি একটিও শহরেও খোলা নর্দমা দেখতে পাইনি। যান চলাচলের সুবিধার জন্য জনস্বার্থে শহরের বড় বড় রাস্তাগুলোকে দখল মুক্ত করে সত্বর দ্বিমুখী করা প্রয়োজন। নৃপেন্দ্র নারায়ণ রোডের মত ব্যস্ততম রাস্তা দ্বিমুখী হয়েছে, কিন্তু দখল মুক্ত হয় নি। রাস্তা সঙ্কীর্ণ করে সরকারি উদ্যোগে নির্মিত হটকারি পে-টয়লেট যেমন ছিল তেমনি আছে, মালবাহী গাড়ির স্ট্যান্ড, পাকা দোকানপাট, হোটেল একই রকম আছে, আগের মত রাস্তা দখল করে। ফুটপাতে চা পান বিড়ি হোটেল সাইকেল সারাই এর দোকান বিনা বাধায় একের পর এক গজিয়ে উঠছে সমস্ত শহরে। যান চলাচলের পথকে সঙ্কীর্ণ করে দিয়ে সুনীতি রোড আর বিশ্বসিংহ রোডের সংযোগ স্থলে যে ওয়াচ টাওয়ারটি নির্মিত হয়েছে, সেটির কি খুব একটা প্রয়োজন ছিল? ওয়াচ টাওয়ারের ওয়াচটি বছরের বেশিভাগ দিন বিকলই থাকে। শহরে এমন কজন মানুষকে খুঁজে পওয়া যাবে, যারা ওই ঘড়িটি দেখে চলাফেরা করেন! জানতে ইচ্ছা করে।
শহরের মানুষের প্রাণের ঝুঁকি আরো বেড়ে গেছে, তাঁদের হাঁটার রাস্তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমন কি সাগরদিঘীর পারে ব্যস্ততম এলাকায় ব্যাপক জবর দখলের জন্য প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অফিস আদালতে কাজে আসা হাজার হাজার মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এরপরও এই শহরের তিতিবিরক্ত মানুষজন দুহাত ভরে ক্ষমতাসীন দলকেই ভোট দেবে! শহরকে দখল মুক্ত ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে অবিলম্বে একটি টাস্ক ফোর্সের প্রয়োজন। যে বাহিনীর লোকেরা প্রতিনিয়ত সজাগ থাকবে এবং রাস্তা, ড্রেন, দখল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মুক্ত করে দেবে। বেআইনি নির্মাণ এবং পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। প্রশাসন সময় মত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে হেরিটেজ ঘোষিত হওয়ার পরও রাজনগরে দৈন্যদশা ঘুচবে না।
(বাকি অংশ আগামী সংখ্যায়)
Have an account?
Login with your personal info to keep reading premium contents
You don't have an account?
Enter your personal details and start your reading journey with us
Design & Developed by: WikiIND
Maintained by: Ekhon Dooars Team