× home হোম archive আগের ওয়েব সংখ্যা panorama ডুয়ার্স সম্পর্কে play_circle_filled ভিডিও file_download মুদ্রিত সংখ্যার পিডিএফ library_books আমাদের বইপত্র
people এখন ডুয়ার্স সম্পর্কে article শর্তাবলী security গোপনীয়তা নীতি local_shipping কুরিয়ার পদ্ধতি keyboard_return বাতিল/ফেরত পদ্ধতি dialpad যোগাযোগ
login লগইন
menu
ad01112021105753.jpg
×
সংখ্যা: জানুয়ারি, ২০২২
সম্পাদকের কলম
উত্তরের মঙ্গল কামনা
প্রদোষ রঞ্জন সাহা
পর্যটনের ডুয়ার্স
কাশ্যম কামান
নন্দিনী চক্রবর্তী অধিকারী
ধারাবাহিক প্রতিবেদন
সততা ও সহকর্মীদের সখ্যতা ব্যাংকের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধকে অটুট রাখতো। পর্ব - ৭
প্রশান্ত নাথ চৌধুরী
ধারাবাহিক প্রতিবেদন
উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতি ও সংস্কৃতির লোকজন। পর্ব - ৩
সব্যসাচী দত্ত
ধারাবাহিক উপন্যাস
ডাউন হলদিবাড়ি সুপারফাস্ট। পর্ব - ১৫
সুজিত দাস
নিয়মিত কলম
মুর্শিদাবাদ মেইল। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম ‘বইমেলা’ শুরু কিন্তু এই মুর্শিদাবাদেই
জাহির রায়হান
নিয়মিত কলম
কোচবিহার কড়চা। এক অভাগা মহকুমা শহরের নাম তুফানগঞ্জ
অমরেন্দ্র বসাক
নিয়মিত কলম
ল্যাব ডিটেকটিভ। পর্ব - ৪। খুনের অপরাধী যখন হেরে যায় মেডিক্যাল সায়েন্সের কাছে
নিখিলেশ রায়চৌধুরী
নিয়মিত কলম
আমচরিত কথা। পর্ব – ১১। খাতা কালি কলম
তনুশ্রী পাল
নিয়মিত কলম
এই ডুয়ার্স কি তোমার চেনা? এক অন্য জয়ন্তীর কথা
শৌভিক রায়
পুরানের নারী
বেদবতী সীতা
শাঁওলি দে

মুর্শিদাবাদ মেইল। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম ‘বইমেলা’ শুরু কিন্তু এই মুর্শিদাবাদেই

জাহির রায়হান
MurshidabadMail_Boimela

বিশ্বে সর্বপ্রথম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৪৭৮ সালে, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে। তারপর সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রোটেষ্ট্যান্ট শাসনকালে প্রকাশনা ও বইমেলার কেন্দ্রে চলে আসে অপর শহর লেইপজিগ। তবে ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়কালে প্রায় দ্বি-সহস্র জার্মান প্রকাশনা সংস্থা নিয়ে নব কলেবরে পুনরায় চালু হয় ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা যা বর্তমানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এবং নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে চলে সম্বৎসর।

আমাদের রাজ্যে ‘কলকাতা বইমেলা’ নিয়ে বাঙালির গর্বের শেষ নেই। ‘বইমেলা’ আদতেই গর্ব করার মতো একটি বিষয়। কারণ বইয়ের চেয়ে ভালো বন্ধু হয় না কোনও পরিবেশ পরিস্থিতিতেই। সেই বই নিয়ে একটা পুরোদস্তুর মেলা এবং দিনে দিনে কালে কালে তার ক্রমশ আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠা কলকাতা বইমেলা পাঠকের মনে স্থাপন করেছে একটি চিরস্থায়ী আসন। ১৯৭৫ (মতান্তরে ১৯৭৬ সাল) সালে শুরু হওয়া ‘কলকাতা পুস্তকমেলা’ তাই আদ্যন্ত বাঙালি আবেগের অপর নাম।

তবে ‘কলকাতা বইমেলা’ কিন্তু রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের প্রথম বইমেলা নয়। পশ্চিমবাংলার প্রথম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদে। সালটা ১৯৬৩, কলকাতা বইমেলা শুরু হওয়ার প্রায় ১২ বছর পূর্বে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর শহরে আয়োজিত হয় বঙ্গের প্রথম বইমেলা। সে সময় আমাদের রাজ্য এমনকি প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশেও জন্ম হয়নি বই নিয়ে মেলা করার ভাবনা। নানাবিধ পুজো, পরব-পার্বণ ও সামাজিক জীবনের প্রচলিত অনুষঙ্গ ও ঘটনাবলী উপলক্ষে একস্থানে বহু মানুষের সমাগম, দোকান-পসার ও আনন্দ প্রকাশের মধ্যেই মূলত সীমাবদ্ধ ছিল ‘মেলা’ নামক উদযাপন। তবে মেলাঙ্গনে ধর্মীয় কারণ, রীতিনীতি ও উপলক্ষ বিদ্যমান থাকলেও তার সঙ্গে যোগ হতো রকমারি কুটির ও চারুশিল্পের প্রদর্শন এবং বিকিকিনি, ব্যবস্থা থাকতো হরেক কিসিমের বিনোদনেরও ফলে সংগঠিত মেলাগুলি হয়ে উঠতো অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের প্রকাশস্থল। তবে এক আকাশের নিচে ‘বই’ নিয়ে হইচই, পড়ুয়া, পুস্তক ক্রেতা ও বিক্রেতার সমন্বয় মঞ্চ যে হয়ে উঠতে পারে ‘বইমেলা’, সে ধারণাটা পরিস্ফুট ছিল না সে অর্থে। ১৯৬৩ সালের এপ্রিল মাসে বই নিয়ে মেলা করার অভিনব সে ভাবনাটি প্রথম ডানা মেলে কয়েকজন উদ্যমী মানুষের উদ্যোগে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর শহরে।

জঙ্গিপুর ও রঘুনাথগঞ্জ শহরের মধ্যে ভাগিরথী নদীর ব্যবধান। রঘুনাথগঞ্জের পুস্তক ব্যবসায়ী ছিলেন বরুণ রায়, নিজের পুস্তক বিপণী ‘ছাত্রবন্ধু পুস্তকালয়’ ছিল তাঁর কাছে মন্দিরের মতো। সারাদিন বই নিয়েই তাঁর ওঠাবসা। তাঁর মাথাতেই প্রথম আসে বই নিয়ে মেলা করার ভাবনা। যেমন ভাবা তেমন কাজ। নিজের ভাবনার কথা তিনি উত্থাপন করলেন আর এক বইপাগল ও কর্ম তৎপর মানুষ তথা জঙ্গিপুর মহকুমার শাসক অমলকৃষ্ণ গুপ্ত মহাশয়’কে। মূলত এই দুই গুণীজনের উদ্যোগেই রঘুনাথগঞ্জের ম্যাকেঞ্জি পার্কে সূচনা হল রাজ্যের প্রথম বইমেলা—‘জঙ্গিপুর গ্রন্থমেলা-১৯৬৩’র। মেলার সভাপতি ছিলেন মহকুমা শাসক স্বয়ং, আর বরুণ রায় নিজেই ছিলেন প্রধান কর্মসচিব। সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন সর্বশ্রী মোহিত চট্টোপাধ্যায়, মৃগাঙ্কশেখর চক্রবর্তী, আশিস রায়, অরুণ রায়, হরিলাল দাস প্রমুখ ব্যক্তিত্ব।

জঙ্গিপুর গ্রন্থমেলার প্রচারকার্যে বিলি করা হয়েছিল ছোট ছোট ইশতিহার বা হ্যান্ডবিল। হ্যান্ডবিলে লেখা ছিল ‘রঘুনাথগঞ্জের ছাত্রবন্ধু পুস্তকালয়ের সত্ত্বাধিকারী শ্রীবরুণ রায় জঙ্গিপুরে একটি গ্রন্থমেলা করার পরিকল্পনা করেন। গত ৩ মার্চ জঙ্গিপুর মহকুমা শাসক শ্রীঅমলকৃষ্ণ গুপ্ত মহাশয়ের পৌরহিত্যে স্থানীয় ম্যাকেঞ্জি পার্কে মহকুমার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এক সমাবেশে গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠানের জন্য এক পরিকল্পনা গৃহীত হয়’। ‘বিবেকানন্দ ভারতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতি দিবস’, ‘কথাসাহিত্য দিবস’, ‘নাট্য দিবস’, ‘সংবাদপত্র সাময়িক পত্র, অনুবাদ সাহিত্য, বিশ্বসাহিত্য দিবস’, ‘রবীন্দ্র দিবস’— ইত্যাদি বিশেষ দিবস হিসেবে পালিত হয় প্রথম মেলাটি।

প্রথম জঙ্গিপুর গ্রন্থমেলা আয়োজনের স্মৃতিচারণ করেছেন সূচনাকারী সদস্যদের অন্যতম অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শ্রী আশিষ রায় নিজের সামাজিক মাধ্যমের দেওয়ালে- “বইমেলার মরশুমটা এসে গেলেই আজ থেকে ছাপ্পান্ন বছর আগে ১৯৬৩ সালে ওই শহরের ম্যাকেঞ্জি হলে আমরা কয়েকজন মিলে যে ‘গ্রন্থমেলা’র আসর বসিয়েছিলাম তার কথা মনে হলেই আমার এই চুরাশি বছরের বুড়ো হাড়ে আজও কাঁপন জাগে। ওই শহরে তখন বইয়ের দোকান একটা। না ছিল ফুলের দোকান, না ছিল কোন ডেকোরেটর। অতিথি-সজ্জনদের আদর-আপ্যায়ন করার মতো কোন হোটেল, লজ বা গেস্ট হাউস ছিল না। লালগোলার মহারাজার দানে তৈরি এক সরাইখানায় তখন লেপ-তোষক বানাত ধুনুরিরা। এইরকম একটা শহরে কোন এক চৈত্রে আমরা পুঁথি সাজিয়ে মেলাটা বসিয়েছিলাম। কলকাতার পাবলিশারদের মধ্যে বসুমতী সাহিত্য মন্দির, দেবসাহিত্য কুটির, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি, চিলড্রেন বুক ট্রাস্ট তাদের পুস্তক সম্ভারে গোটা দশেক স্টল বানিয়েছিল। সাত দিনের ঐ মেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চে বিখ্যাত কবিয়াল গুমানি দেওয়ান, গম্ভীরা খ্যাত মটরবাবু (মটরা), আলকাপ সম্রাট ঝাকসু (ধনঞ্জয় মণ্ডল), যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, নাট্যকার বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ বিশিষ্ট গুণীজন উপস্থিত ছিলেন। জঙ্গিপুরের সর্বাঙ্গীন পরিচয় জ্ঞাপক ৯৮ পৃষ্ঠার একটা ঐতিহাসিক স্মারকগ্রন্থও প্রকাশ করা হয়েছিল। শ্রীহীরালাল গোস্বামীর শ্রীআর্ট প্রেস, ৫/১ রমানাথ মজূমদার স্ট্রিট, কলকাতা-৯-এ গ্রন্থটি ছাপা হয়েছিল। জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসক শ্রীঅমলকৃষ্ণ গুপ্ত ছিলেন ঐ গ্রন্থমেলার সভাপতি। স্মারকগ্রন্থের দাম ছিল ২ টাকা। কী বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে কলকাতা থেকে দেড়শ মাইল দূরের ঐ শহরে আজ থেকে কত বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের ঐ প্রথম গ্রন্থমেলা আমরা এক স্বাধীনতা সংগ্রামী বরুণ রায়ের অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনায় মাত্র পাঁচজন মানুষ সফল করতে পেরেছিলাম, ভাবতে অবাক লাগে। মনে পড়ে চৈত্রের ভরা দুপুরে তখন জঙ্গিপুর কলেজের অধ্যাপক মোহিত চট্টোপাধ্যায় (পরে নামী নাট্যকার)’কে নিয়ে জঙ্গিপুর এস.ডি.ও কোর্টের কৃষ্ণচূড়া গাছের ফুল ডালসমেত ভেঙে এনে মেলার মঞ্চ সাজিয়েছিলাম। ঐ বইমেলা’কে পুনরুদ্ধার করে বেশ কিছু বছর পর থেকে জঙ্গিপুরে বইমেলা এখন ধারাবাহিক”। তিনি আরও জানিয়েছেন, “সম্ভবত আট বা নয়ের দশকে কলকাতা বইমেলার কর্ণধার শ্রীত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জঙ্গিপুর বইমেলার উদ্বোধন করেছিলেন। তাঁকে আমরা তখন বলেছিলাম, ১৯৬৩ সালের ‘জঙ্গিপুর গ্রন্থমেলা’ যে পশ্চিমবাংলার প্রথম বইমেলা সে বিষয়ে আজও সরকারি স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তিনি যদি কিছু চেষ্টা করেন। শ্রীচট্টোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ত্রিদিববাবু তো কলকাতার মানুষ। তাই বোধহয় জঙ্গিপুর মেলার উদ্বোধন করে এসে কলকাতায় পা দিয়ে মহানগরীর হট্টগোলে কথাটা ভুলে গিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে কলকাতা বইমেলা শুরু হয়। আমার কিন্তু এখনো মনে আছে ১৯৬৩ সালে জঙ্গিপুর গ্রন্থমেলা হয়েছিল”।

শুধু গ্রন্থমেলার আয়োজন করাই নয়, মেলা উপলক্ষে স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনার বিষয়টিও এখানে উল্লেখযোগ্য। জঙ্গিপুর মহাবিদ্যালয়ের তদানীন্তন গ্রন্থাগারিক বিশ্বপতি চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থটিতে বঙ্গের বহু বিখ্যাত মানুষ যথা দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিত, শহিদ নলিনী বাগচি, বিপ্লবী নলিনীকান্ত সরকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা তপন সিংহ, চিত্রকর ক্ষিতীন মজুমদার, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক অনুকুল চন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রমুখ জঙ্গিপুরের বিশিষ্ট এগারো জন গুণীজনের পরিচিতিসহ উক্ত মহকুমার এক সর্বাঙ্গীণ ইতিহাস রচনায় সচেষ্ট হন। স্মারক গ্রন্থটির সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক নাট্যকার মোহিত চট্টোপাধ্যায়, অধ্যাপক আশিস রায় ও রঘুনাথগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হরিলাল দাস প্রমুখ। ১৯৬৩ সালে সূচিত হওয়া ‘জঙ্গিপুর গ্রন্থমেলা’র ৯৮ পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন বিহীন স্মারকগ্রন্থটি আজও এলাকার বহু মানুষের ব্যক্তিগত সংগ্রহে সুরক্ষিত।

তবে রাজ্য তথা জেলার প্রথম মেলাটি ১৯৬৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলেও দ্বিতীয় মেলার জন্য জেলাবাসীকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল বেশ কয়েক বছর। জেলায় দ্বিতীয় বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালের ৩-৭ জুন জেলা সদর বহরমপুরের কাশীশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে। ২৭ ডিসেম্বর’ ১৯৭৯, প্রয়াত হন সাহিত্যিক মণীশ ঘটক। তাঁর স্মরণে ও প্রয়াত মণীশ ঘটক সম্পাদিত ‘বর্তিকা’ পত্রিকার রজতজয়ন্তী বর্ষ উদযাপনের জন্য গঠিত হয় একটি উপসমিতি। উক্ত উপসমিতিই পরিচালনা করে জেলার দ্বিতীয় গ্রন্থমেলাটি। মেলার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন ‘অনীক’ পত্রিকার সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী। সাহিত্যিক ও সমাজসেবী মহাশ্বেতা দেবী ছিলেন সভাপতি। সামগ্রিক সহযোগিতা করেছিলেন তৎকালীন জেলাশাসক প্রসাদ রায় মহাশয়।

জেলার তৃতীয় বইমেলাটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৩ সালে, কৃষ্ণনাথ কলেজিয়েট স্কুল সংলগ্ন কাদাই রিফরমেটরি স্কুলের মাঠে। আর চতুর্থ বইমেলাটি অনুষ্ঠিত হয় ব্যারাক স্কোয়ার প্রাঙ্গনে, ১৯৮৪ সালে। প্রথম চারটি বইমেলা বেসরকারিভাবে ব্যক্তিগত বা কখনও সমষ্টিগত উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলেও ‘মুর্শিদাবাদ বইমেলা’ সরকারিভাবে অনুষ্ঠিত হয় অচিরেই। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথম মুর্শিদাবাদ বইমেলা সংঘটিত হয় ১৯৮৪ সালেই, এফ.ইউ.সি ময়দানে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্রীরমেন পোদ্দার, সাহিত্যিক অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সৈয়দ মোস্তফা সিরাজ, ভূমিপুত্র রেজাউল করিম প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের তত্ত্বাবধানে প্রথম সংঘটিত সরকারি বইমেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে মুর্শিদাবাদ বইমেলা। তারপর থেকেই সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফি-বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ‘মুর্শিদাবাদ জেলা বইমেলা’। এখন রাজ্য জুড়ে হাজারো বইমেলার ভিড়েও তাই মিথ্যা হয়ে যায় না জেলা মুর্শিদাবাদের বই নিয়ে মেলা করার প্রথম ভাবনাটি।।

এই সংখ্যার সূচী

করোনা কালের প্রতিবেদন ফ্রি রিডিং

Disclaimer: Few pictures in this web magazine may be used from internet. We convey our sincere gratitude towards them. Information and comments in this magazine are provided by the writer/s, the Publisher/Editor assumes no responsibility or liability for comments, remarks, errors or omissions in the content.
Copyright © 2025. All rights reserved by www.EkhonDooars.com

Design & Developed by: WikiIND

Maintained by: Ekhon Dooars Team