× home হোম archive আগের ওয়েব সংখ্যা panorama ডুয়ার্স সম্পর্কে play_circle_filled ভিডিও file_download মুদ্রিত সংখ্যার পিডিএফ library_books আমাদের বইপত্র
people এখন ডুয়ার্স সম্পর্কে article শর্তাবলী security গোপনীয়তা নীতি local_shipping কুরিয়ার পদ্ধতি keyboard_return বাতিল/ফেরত পদ্ধতি dialpad যোগাযোগ
login লগইন
menu
ad01112021105716.jpg
×
সংখ্যা: জানুয়ারি, ২০২২
সম্পাদকের কলম
উত্তরের মঙ্গল কামনা
প্রদোষ রঞ্জন সাহা
পর্যটনের ডুয়ার্স
কাশ্যম কামান
নন্দিনী চক্রবর্তী অধিকারী
ধারাবাহিক প্রতিবেদন
সততা ও সহকর্মীদের সখ্যতা ব্যাংকের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধকে অটুট রাখতো। পর্ব - ৭
প্রশান্ত নাথ চৌধুরী
ধারাবাহিক প্রতিবেদন
উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতি ও সংস্কৃতির লোকজন। পর্ব - ৩
সব্যসাচী দত্ত
ধারাবাহিক উপন্যাস
ডাউন হলদিবাড়ি সুপারফাস্ট। পর্ব - ১৫
সুজিত দাস
নিয়মিত কলম
মুর্শিদাবাদ মেইল। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম ‘বইমেলা’ শুরু কিন্তু এই মুর্শিদাবাদেই
জাহির রায়হান
নিয়মিত কলম
কোচবিহার কড়চা। এক অভাগা মহকুমা শহরের নাম তুফানগঞ্জ
অমরেন্দ্র বসাক
নিয়মিত কলম
ল্যাব ডিটেকটিভ। পর্ব - ৪। খুনের অপরাধী যখন হেরে যায় মেডিক্যাল সায়েন্সের কাছে
নিখিলেশ রায়চৌধুরী
নিয়মিত কলম
আমচরিত কথা। পর্ব – ১১। খাতা কালি কলম
তনুশ্রী পাল
নিয়মিত কলম
এই ডুয়ার্স কি তোমার চেনা? এক অন্য জয়ন্তীর কথা
শৌভিক রায়
পুরানের নারী
বেদবতী সীতা
শাঁওলি দে

বেদবতী সীতা

শাঁওলি দে
PuranerNari_Jan22

পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত পড়লে জানা যায় সেখানকার বিভিন্ন চরিত্র ও তাঁদের পূর্বজন্মের কথা। বেশিরভাগ চরিত্রই বিভিন্ন কালে তাঁদের নানারকম কর্মফলের কারণে বিভিন্ন নামে জন্ম লাভ করেছিলেন। প্রতিটি চরিত্রই তাঁদের আগের বা পরের জন্মের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। বেদবতী তাঁদেরই মধ্যে অন্যতমা।

রামায়ণ শুরুর অনেক অনেক বছর আগে দশানন রাবণ একবার ত্রিভুবন জয়ের সংকল্প করেন ও কুবেরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। যক্ষেরা তা টের পেলে কুবেরকে জানায় এবং দু-পক্ষের তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। প্রবল লড়াইয়ের পর দশানন কুবেরের শিরোদেশে গদা দিয়ে আঘাত করলে কুবেরের পরাজয় হয়। দশানন তখন তাঁর জয়ের চিহ্ন স্বরূপ কুবেরের অপূর্ব পুষ্পকরথটি গ্রহণ করেন। পুষ্পকটি নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বকর্মা।

কিছুদূর চলার পরই পুষ্পকটি তার গতিরোধ করে আর এক পা-ও এগোয় না। রাবণ ক্রুব্ধ হন, মন্ত্রীদের কাছে কারণ জানতে চান। মারীচ তখন রাবণকে জানান, ধনপতি কুবেরই এ রথ চালাত। এখন যেহেতু রাবণ চালাচ্ছেন তাই হয়ত রথটি আর চলছে না।

সেসময় ওখানে উপস্থিত ছিল কৃষ্ণপিঙ্গল মূর্তি মহাবল শিব অনুচর, নন্দী। রাবণের রাগ অনুমান করে নন্দী জানালেন ভগবান শঙ্কর দেবী পার্বতীর সঙ্গে ক্রীড়ারত, তাই এই রথের গতিরুদ্ধ হয়েছে। সেই মুহূর্তে কারোরই ক্ষমতা নেই ওই পথ অতিক্রম করে।

রাবণের রাগ আরও বেড়ে যায়। তিনি রাগে দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে বলে ওঠে, কে এই শঙ্কর? সেই সঙ্গে নন্দীর বানরমুখ দেখে তাঁকেও বিদ্রুপ করতে ছাড়ে না। নন্দী তখন রাবণকে অভিশাপ দেন একদিন নিজের কর্মফলেই রাবণ ধ্বংস হবে আর তাঁকে ও তাঁর কুলকে ধ্বংস করার জন্য জন্ম নেবে হাজার হাজার বানর। নন্দীর কথা শুনে রাবণের মন্ত্রীরা সব আর্তনাদ করে ওঠে, বলে শিবের তপস্যা করতে। রাবণ হাজার বছর স্তব করলে মহাদেব প্রসন্ন হন এবং একটি চন্দ্রহাস নামে খড়গ প্রদান করে বলেন যে এর সাহায্যে তিনি বাকী জীবন নির্বিঘ্নে কাটাতে পারবেন। কিন্তু ওটি হাতছাড়া হলে তা আবার শিবের কাছেই ফিরে যাবে। দশানন ভীমনাদে গর্জন করেছিলেন বলে সেদিন থেকে তাঁর নাম হয় রাবণ।

শিবের বর পেয়ে রাবণ ক্ষত্রিয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য পর্যটন শুরু করলেন। ঘুরতে ঘুরতে একদিন হিমালয়ের এক অরণ্যে এসে রাবণ এক পরমা সুন্দরী রমনীর দেখা পেলেন। সেই রমনী তখন তপস্যা করছিলেন, মাথায় জটা পরনে কৃষ্ণাজিন। রাবণ মুগ্ধ চোখে তাঁকে দেখতে লাগলেন এবং কামার্ত হয়ে পড়লেন। রমনীর অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ রাবণ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেম, ‘কে তুমি? এই যৌবনকালে তপস্যাই বা করছ কেন?’ সেই কন্যা তখন রাবণকে জানালেন যে তিনি বৃহষ্পতি পুত্র মহর্ষি কুশধ্বজ। তাঁর জন্মের সময় পিতা বেদ পাঠ করছিলেন আর তাই তিনিও বাঙময়ী মূর্তিতে জন্মলাভ করেন। এইজন্য তাঁর নাম বেদবতী। দেবতা থেকে শুরু করে গন্ধর্ব, যক্ষ এমনকি রাক্ষসরাও তাঁকে বিবাহ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পিতা ইচ্ছা ছিল শ্রী বিষ্ণুকেই তাঁর জামাতা করার। এই কথা শুনে দৈত্যরাজ শুম্ভ রেগে গিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মহর্ষি কুশধ্বজকে হত্যা করে, সেই দেখে বেদবতীর মাতাও সহমরণে যান। পিতা মাতার ইচ্ছানুসারে বেদবতীও তাই বিষ্ণুকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য কঠোর তপস্যা করছেন। বেদবতীর কথা শুনে রাবণ বিষ্ণুকে তাচ্ছিল্য করে বলেন, কোনোদিক থেকে বিষ্ণু তাঁর যোগ্য নয় এবং সমকক্ষও নয়, তাই বেদবতীর উচিত তাঁর সঙ্গে যাওয়া।

বেদবতী জানান, বিষ্ণু এই তিনভুবনের অধিপতি। তাঁকে অবজ্ঞা করার লোক কেউ নেই। এই কথা শুনে রাবণ রেগে গিয়ে বেদবতীর চুল ধরে তাঁকে টেনে নিয়ে যেতে চান। সেই মুহূর্তে বেদবতী বলে ওঠেন, রাবণের কাছে ধর্ষিত হয়ে তিনি থাকতে চান না। মন্ত্রবলে বেদবতী সেখানেই আগুন জ্বালান এবং সেই আগুনে ঝাঁপ দিতে দিতে বলেন, রাবণকে অভিশাপ দিয়ে তিনি তপোনাশ করতে চান না, তাই অন্য কোনো জন্মে তিনি এক ধার্মিকের অযোনিজা কন্যারূপে জন্ম গ্রহণ করবেন এবং সেই কন্যার কারণের রাবণের বিনাশ ঘটবে।

এই অযোনিজা কন্যাই হল সীতা যিনি ধর্মপ্রাণা রাজা জনকের কন্যারূপে জন্মগ্রহন করেন, পরে রামরূপী বিষ্ণু অবতারের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। এর পরের ঘটনা সবার জানা, যা পুরাণে রামায়ণ নামে পরিচিত।

এই সংখ্যার সূচী

করোনা কালের প্রতিবেদন ফ্রি রিডিং

Disclaimer: Few pictures in this web magazine may be used from internet. We convey our sincere gratitude towards them. Information and comments in this magazine are provided by the writer/s, the Publisher/Editor assumes no responsibility or liability for comments, remarks, errors or omissions in the content.
Copyright © 2025. All rights reserved by www.EkhonDooars.com

Design & Developed by: WikiIND

Maintained by: Ekhon Dooars Team