× home হোম archive আগের ওয়েব সংখ্যা panorama ডুয়ার্স সম্পর্কে play_circle_filled ভিডিও file_download মুদ্রিত সংখ্যার পিডিএফ library_books আমাদের বইপত্র
people এখন ডুয়ার্স সম্পর্কে article শর্তাবলী security গোপনীয়তা নীতি local_shipping কুরিয়ার পদ্ধতি keyboard_return বাতিল/ফেরত পদ্ধতি dialpad যোগাযোগ
login লগইন
menu
ad01112021081913.jpg
×
সংখ্যা: পৌষ, ১৪৩০
সম্পাদকের কলম
শীতের গল্পগাছা
সম্পাদক - এখন ডুয়ার্স
বিশেষ নিবন্ধ
বইমেলা মানে বই যেখানে ছুতো নিমিত্তমাত্র
প্রদোষ রঞ্জন সাহা
ধারাবাহিক প্রতিবেদন
উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতি ও সংস্কৃতির লোকজন | পর্ব - ১৬
সব্যসাচী দত্ত
খোলা মনে খোলা খামে
টিনের চালে লাল টুকটুকে লেপ - আমার শীতের ছোটবেলা
রম্যাণী গোস্বামী
জলশহরের কথা
এক যে ছিল টউন | পর্ব - ৯
শুভ্র চট্টোপাধ্যায়
শিলিগুড়ি স্টোরিলাইন
টাউন স্টেশন থেকে শুরু করে এশিয়ান হাইওয়ে: শিলিগুড়ির শতাব্দীব্যাপী বিবর্তন কথা
নবনীতা সান্যাল
পর্যটন
রিনচেনপং
অনিন্দ্য পাল
শ্রীমতী ডুয়ার্স
নারী মাত্রই মেয়ে কিন্তু মেয়ে মাত্রই নারী নয়!
ড. শুচিস্মিতা দেবনাথ
পাতাবাহার
আতার পায়েস চলতে পারে একটু?
পাতা মিত্র
পুরানের নারী
সতী
শাঁওলি দে

প্রচ্ছদ ছবি

এই সংখ্যার প্রচ্ছদ শিল্পী গৌতমেন্দু রায়

আতার পায়েস চলতে পারে একটু?

পাতা মিত্র
Atar Payesh

আমাদের ছোটবেলায় না ছিল না ছিল মোবাইল, না ছিল টিভি। টিভি এসেছিল বটে কিন্তু খুব হাতে গোনা কয়েকটি বাড়ির ড্রয়িং রুমের শোভাবর্ধন করা ছাড়াও বিভিন্ন কার্যকলাপ চালিয়ে তাকে সন্ধ্যায় সজীব করতে হত। তবে সে টিভি দেখার থেকে পাশের বাড়ির টেপি-পলির সান্নিধ্য অনেক আকর্ষণীয় ছিল আমাদের কাছে। ওদের বাড়ির পাতলা করে জ্বাল দেওয়া গুড় আর গোল করে পাকানো রুটি না জানি কত বেশি স্বাদের ছিল। অনেকটা ভাত আর তার মধ্যে গোল করে গর্ত করা, পেতলের ডাবু হাতায় মাথা পিছু এক টুকরো মাংস আলু আর অনেকটা করে পাতলা ঝোল বড়মা দিয়ে দিত। রান্নাঘরের মেঝেতে উবু হয়ে বসে ওরা গোল হয়ে বসে যেত পিঁড়ি পেতে। ইচ্ছে হলেও সেখানে আমাদের খাবার পারমিশন ছিল না। মায়ের ঠ্যাঙানির ভয়ে। ওরাও নিশ্চয়ই লজ্জা পেত আমাদের ডাকতে। কিন্তু আমাদের আদর আহ্লাদের কোনো অভাব ওদের বাড়িতে ছিল না। সেই আমাদের মা যাকে আমাদের আর পাড়ার সব বন্ধুদের ভয়ের কারণ ছিল সেই মা আজকাল আমাদের ভয় পায় বলে মনে হয় কখনো কখনো। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পাল্টে যায়, এটাই নিয়ম। উল্টে যায়, এখন মা-বাবারা আমাদের সন্তানদের মতো কখনো কখনো অবুঝ আর ছেলেমানুষ হয়ে যায়। তাই অনেক সময় বাচ্চাদের মতোই ওনাদের ট্যকল করতে হয়। বকাঝকাও করতে হয় কখনো। কুড়িয়ে বাড়িয়ে দুই বাড়ি মিলিয়ে চারজনের মধ্যে এখন একমাত্র বেঁচে আছেন আমার মা। বাকি তিনজন আজ ছবিতেই শোভা পাচ্ছেন। মা ভীষণ মিষ্টি খেতে ভালোবাসে, একটা সময় দারুন মিষ্টি বানাতেন, আজও মায়ের বানানো নানা মিষ্টি দিয়ে আমি আমার পেজ ভরাই। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় নি তাই আমার স্বল্পাহারী মায়ের মিষ্টি খাওয়ায় আমাদের কোনো বাধা নেই।

আজ থাকলো মায়ের পছন্দের আতার পায়েস বা ক্ষীর আতা। খুব সহজেই হয়ে যায় কেবল আতার বীজগুলো বের করা একটু সময়সাপেক্ষ, আর সবকিছু চটপট হয়ে যায়। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে তাতে গুঁড়ো দুধ, মিল্কমেইড আর এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে তারপর আতার পাল্প দিয়ে একটু ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ড্রাইফ্রুট আর গোলাপজল মিশিয়ে নিলেই তৈরি আতার পায়েস। বাড়িতে দেশি গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে রাখলে সেটা দিয়ে ডেজার্ট সাজানো যায়। দেখতে ভালো লাগে। একটু জাফরানও দেয়া যেতে পারে। মিল্কমেইড দিয়েছি বলে চিনি দিই নি। গরমে সীতাফল (আতা) আইসক্রিম খুব দামী ডেজার্ট হিসেবে অনেক জায়গায় পাওয়া যায়, সেটা না হয় গরমের জন্য তোলা থাক।

এই সংখ্যার সূচী

করোনা কালের প্রতিবেদন ফ্রি রিডিং

Disclaimer: Few pictures in this web magazine may be used from internet. We convey our sincere gratitude towards them. Information and comments in this magazine are provided by the writer/s, the Publisher/Editor assumes no responsibility or liability for comments, remarks, errors or omissions in the content.
Copyright © 2025. All rights reserved by www.EkhonDooars.com

Design & Developed by: WikiIND

Maintained by: Ekhon Dooars Team