বিশ্ব উষ্ণায়ন শব্দটা মিডিয়ার সুবাদে আমাদের পরিচিত। কিন্তু এই শব্দটির বাস্তবিকতা আমরা হয়তো প্রতিবছর ধীরে ধীরে আরো বেশি অনুভব করছি। প্রতি বছর গরম এগিয়ে আসছে, গরম দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, পারদ চড়ছে সহনসীমা ছাড়িয়ে। আত্মহন্তা মানুষ আমরা আরো বেশি সংখ্যক এয়ারকন্ডিশনার লাগাচ্ছি, আরো বেশি বন কেটে নগরকে করছি বিস্তৃত। অনুভব করছি কিন্তু উপলব্ধি করতে চাইছি না যে উষ্ণায়নের মারণ থাবা ক্রমশ মানব সভ্যতার টুটি চেপে ধরছে তাকে নিকেশ করবে বলে। অতএব, এইবেলা সচেতন তো আমাদের হতেই হবে!
আপাতত এই গরমের মোকাবিলা করতে আমাদের কিছু প্রস্তুতি নিতেই হবে! সুতির পোশাক পরতে হবে, ছাতা, সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে, প্রচুর জল খেতে হবে, খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে বেরোনোর কথা ভাবা যাবে না এইসব এখন বহুশ্রুত এবং ক্লিশে হয়ে গেছে, মানে একটা ছোট বাচ্চাও জানে। তাই সবাই যেটা জানে না আর জানতে চায় যে কীভাবে নিজের এবং বাড়ির সকলের জন্য নানা রকম সুস্বাদু আর চটপট কিছু কুল কুল ঠান্ডা রেসিপি বানাতে হয়। তাই সেটাই এখন বাতলে দিই যেটা সকলের কাজে লাগবে।
ওয়াটারমেলন আইস্ড টি
বাংলায় কী নাম দেব বলবো ঠিক বুঝতে পারলাম না। পাঠকের কাছে উপযুক্ত নাম কিছু থাকলে জানাবেন অবশ্যই। তবে বড়ো রেস্তোরাঁ বা টি বুটিকে বেশ ভালো রকমের গাঁটের কড়ি খসাতে হবে মেনু কার্ডের এই অর্গানিক পানীয়টির জন্য এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি।
প্রথমে ভালো ফ্লেভার যুক্ত দার্জিলিং চা বানিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করতে ফ্রিজে রেখে দেবেন মুখবন্ধ শিশিতে। বিনা চিনিতে। সবজা (বেসিল সিড) বা চিয়া সিড দু মিনিট ভিজিয়ে নেবেন।
বড়ো কাঁচের গ্লাসে প্রথমে সামান্য আদা আর চিনি একটু থেঁতলে দেবেন। তারপর মিষ্টি তরমুজ কয়েক টুকরো, সেটাও থেঁতো করবেন।
তারপর এক চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। তার ওপর দেবেন এক চামচ চিয়া বা সবজা। তার ওপর দু তিন কিউব বরফ আর সবার ওপরে হালকা হাতে সুগন্ধি দার্জিলিং চা, পরিমাণ মতো। এক চাকলা লেবু, একটু পুদিনা আর তরমুজের টুকরো দিয়ে গারনিশিং করবেন দেখবেন নিজের ভেতরের শিল্পী সত্ত্বাটি কেমন খিলখিলিয়ে হাসছে। গরমের দিনে যখন ইচ্ছে হবে বানিয়ে খাবেন, খাওয়াবেন।
পাইন্যাপল পান্না
আনারস টুকরো করে কেটে মিনিট পনেরো ফুটিয়ে নিতে হবে। মোটামুটিভাবে আধখানা আনারস হলে তার মধ্যে দিতে হবে একশো গ্ৰাম মতো আঁখি গুড় বা চার-পাঁচ চামচ চিনি, সামান্য লঙ্কার গুঁড়ো, বিট নুন, হলুদ গুঁড়ো আর ভিনিগার। তবে সব কিছু নির্ভর করবে আনারস কতটা মিষ্টি তার ওপর। এরপর এটিকে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে কাঁচের বোতলে ভরে বেশ কিছুদিন সংরক্ষণ করা যাবে। গোটা জিরে সামান্য কাঠখোলায় ভেজে গুঁড়ো করে নিয়ে তারপর কাঁচের গ্লাসে কয়েক টুকরো বরফ, আনারসের এই তরল পরিমাণ মতো নিয়ে, জল বা সোডা ওয়াটার আর সবার ওপরে ভাজা জিরের গুঁড়ো, ব্যাস চটপট তৈরি রিফ্রেশিং হোম মেইড আনারসের পান্না।
গরমের সঙ্গে লড়াই করার আপাতত কিছু আয়োজন তো পাওয়া গেল। সুস্থ থাকতে হবে তো!
Have an account?
Login with your personal info to keep reading premium contents
You don't have an account?
Enter your personal details and start your reading journey with us
Design & Developed by: WikiIND
Maintained by: Ekhon Dooars Team