× home হোম archive আগের ওয়েব সংখ্যা panorama ডুয়ার্স সম্পর্কে play_circle_filled ভিডিও file_download মুদ্রিত সংখ্যার পিডিএফ library_books আমাদের বইপত্র
people এখন ডুয়ার্স সম্পর্কে article শর্তাবলী security গোপনীয়তা নীতি local_shipping কুরিয়ার পদ্ধতি keyboard_return বাতিল/ফেরত পদ্ধতি dialpad যোগাযোগ
login লগইন
menu
ad01112021105517.jpg
×
সংখ্যা: নভেম্বর, ২০২১
সম্পাদকের কলম
এ দেশের বুকে আরোগ্য আসুক নেমে
প্রদোষ রঞ্জন সাহা
পর্যটনের ডুয়ার্স
বান্দাপানি বনবাংলোয়
শান্তনু রায়
পর্যটনের ডুয়ার্স
বরফে ঢাকা নাথাং ভ্যালি
প্রতাপ কুমার মণ্ডল
ধারাবাহিক প্রতিবেদন
গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ও উত্তরের উত্তরণ লিপি। পর্ব - ৫
প্রশান্ত নাথ চৌধুরী
ধারাবাহিক প্রতিবেদন
রাজনগরের রাজনীতি। পর্ব - ৯। স্বাধিকারের দাবিতে বারবার আন্দোলনমুখী হয়েছে কোচবিহার।
অরবিন্দ ভট্টাচার্য
ধারাবাহিক প্রতিবেদন
উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতি ও সংস্কৃতির লোকজন। পর্ব - ১
সব্যসাচী দত্ত
ধারাবাহিক উপন্যাস
ডাউন হলদিবাড়ি সুপারফাস্ট। পর্ব - ১৩
সুজিত দাস
নিয়মিত কলম
মুর্শিদাবাদ মেইল। বাংলার বিস্মৃত বীর মীরমদন
জাহির রায়হান
নিয়মিত কলম
ল্যাব ডিটেকটিভ। পর্ব -৩। ডিএনএ টেস্ট অপরাধী ধরায় বিপ্লব আনলো
নিখিলেশ রায়চৌধুরী
নিয়মিত কলম
আমচরিত কথা। পর্ব - ৯। ভালবাসা ভালবাসা
তনুশ্রী পাল
নিয়মিত কলম
এই ডুয়ার্স কি তোমার চেনা? স্বর্ণকোশের কাছে
শৌভিক রায়
বিজ্ঞানের দুনিয়ায় ভারতীয় নারী
সত্যবতী মতিলাল সিরসত: ভারতে আধুনিক ক্যান্সার গবেষণার রূপকার
রাখি পুরকায়স্থ
পুরানের নারী
যযাতি পত্নী শর্মিষ্ঠা
শাঁওলি দে
পাতাবাহার
মিনি চিজ কেক
পাতা মিত্র
সম্পাদকের কলম

এ দেশের বুকে আরোগ্য আসুক নেমে

প্রদোষ রঞ্জন সাহা
EditorialNov21

নির্বাচন পরবর্তী লকডাউন আমাদের যাবতীয় আশা ও উদ্যমের মূলে ভয়াবহ আঘাত করেছিল সন্দেহ নেই। পত্রিকা পরিবেশক ও বিক্রেতাদের গলায় হতাশার সুর আমাদের অনিশ্চয়তার আঁধারে ঠেলে দিয়েছিল। সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ‘এখন ডুয়ার্স’ পত্রিকা প্রকাশ। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষুদ্র প্রকাশনী সংস্থার বাণিজ্যিক উদ্যোগ তাৎক্ষণিক ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পায় নি। বেশ কিছু হকার ও বিক্রেতা ম্যাগাজিন যেমন বিক্রির পেশা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তেমনই বিজ্ঞাপনের বাজারও দীর্ঘ নিদ্রা থেকে জেগে ওঠে নি। ফলে বড় বড় সাময়িকীগুলির পরিস্থিতিও খুব একটা সুখকর নয়। এই অবকাশে ছাপা পত্রিকা পড়বার অভ্যেস থেকে বহু মানুষ সরে এসেছে। দৈনিক সংবাদপত্রের বিক্রিতে উল্লেখযোগ্য হ্রাস খালি চোখেই দেখা যায়। খবরের আপডেট পেতে কিংবা নিজস্ব মতামত পেশ করতে স্মার্টফোনে ভরসা বেশি করছে আজকের মানুষ।

অতএব অনন্যোপায় হয়ে নিজেদের পাঠক সম্প্রদায়কে খুঁজে নিতে আমরাও ডিজিটাল মাধ্যমের শরণাপন্ন হলাম। এতে দেশ বিদেশের বেড়াজাল অতিক্রম করে অনেক বেশি সংখ্যক পাঠকের কাছে নিয়মিত পৌঁছতে পারব, এই আশা আমরা রাখি। তবে আমরা এখনও বিশ্বাস রাখি মুদ্রিত কাগজের কোনও বিকল্প হয় না, তাই ছাপা সংকলন আমাদের অন্যান্য বইপত্রের মতোই বিশেষ সংখ্যা হয়ে মাঝে মধ্যেই প্রকাশিত হবে। এই বঙ্গদেশে আজ বইপত্রের কারবার করে সংসার প্রতিপালন করা অতীব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু দেখা যায় এই রঙ্গে ভরা বঙ্গে সাহিত্যচর্চার কোনও ঘাটতি নেই, এই মন্দার পুজোবাজারে শারদীয়া সংকলনের পরিমাণে কমতি নেই, প্রিন্ট-অন-ডিমান্ডের কল্যাণে গল্প-কবিতার বন্যা অব্যাহত আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো সাহিত্যের পাঠক যে ক্রমাগত বিলুপ্তির পথে তা নিয়ে লেখকবর্গের কোনও উদ্বেগ চোখে পড়ে কি? গ্রন্থাগারগুলি যেখানে প্রাগৈতিহাসিক পরিত্যক্ত বাড়ির মতো নিথর হয়ে পড়ে থাকে, জ্ঞানের ভান্ডার সামলাবার দায়িত্ব যেখানে নিয়েছে গুগল, সেখানে সিলেবাসের বাইরে বইয়ের প্রয়োজনীয়তা মানুষকে বোঝাবার দায়িত্ব কিন্তু কাঁধে তুলে নিতে হবে লেখকদেরকেই। সরকার জেলায় জেলায় বইমেলা আয়োজন করতে পারেন, বই কেনাবেচার আসর তৈরি করে দিতে পারেন, কিন্তু বই কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ ফিরিয়ে আনতে মাঠে নামতে হবে সর্বস্তরের লেখক সমাজকেই। বইমেলায় দাঁড়িয়ে নিজের বই বিক্রি করলে কিংবা অটোগ্রাফ দিলেই তা হয় না, প্রত্যেক লেখকের দায়বদ্ধ থাকা উচিত পুরো প্রকাশনা শিল্পের প্রতি।

লেখকদের মনে রাখতে হবে মুদ্রিত বাংলা বইয়ের আড়াইশ বছরের ইতিহাসে এমন করুণ দুর্যোগকাল আগে কখনও আসেনি। দেশজুড়ে আঞ্চলিক ভাষার প্রাধান্য, ইংরেজি পড়া লোকের সংখ্যা বাড়ছে না, তবু ইংরাজি বইয়ের বাণিজ্যে এমন ঘাটতি কিন্তু চোখে পড়ে না। কেবল ডিজিটাল মাধ্যমকে দোষারোপ করা অর্থহীন, কারণ একটি মাধ্যম কখনই আরেকটি মাধ্যমের প্রতিযোগী হতে পারে না, বরং সঠিক পরিকল্পনা থাকলে পরিপূরক হিসেবেই কাজ করে। লেখক-পাঠকের সরাসরি যোগাযোগ বাড়ালে বইয়ের গুরুত্ব ও চাহিদা বাড়তে পারে, আর এই যোগাযোগ স্থাপন অতি সহজে সম্ভব কিন্তু ডিজিটাল মাধ্যমেই। মুদ্রিত বইয়ের প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ইতিমধ্যেই যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে, তেমনই করোনাকালে লেখকরা নানা ডিজিটাল উদ্যোগ নেওয়ার ফলেই যে পাঠকের বইমুখী মনোভাব বেড়েছে তার তাজা প্রমাণ এই সময়ে বইয়ের অনলাইন অর্ডারে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।  

এদিকে বছর ফুরিয়ে এল, আমাদের পরমায়ুও ফুরিয়ে আসছে একটু একটু করে। বিদ্যালয়ের পথ ভুলে যাওয়া বিষণ্ণ শৈশব কৈশোর ঘরে ঘরে এলোমেলো আঁকিবুঁকি কাটে, অহেতুক ঘ্যানঘ্যান করে। চলে যাওয়ার আগে তাদের কী কৈফিয়ত দিয়ে যাব বলুন তো? এ কোন জোড়াতালি দেওয়া শতচ্ছিন্ন ভবিষ্যৎ তাদের জন্য রেখে যাচ্ছি আমরা? কোভিডের মতো দুর্যোগকে মোকাবিলা করতে গিয়ে যে কচিমনগুলিকে ঠিকমত পরিচর্যা করা সম্ভব হল না, কুঁড়িগুলি সঠিক প্রস্ফুটিত হলো না, তার দায় কি অদৃষ্টের হাতে ছেড়ে দিয়ে পার পাবো আমরা? নাড়ির টান ছিন্ন করে যে শিক্ষিত-অশিক্ষিত তরুণকে পরিযায়ী হতে বাধ্য করছি আমরা, ভিনদেশি অসহায়তার মধ্যে নিক্ষেপ করছি নিজেদের হাতে, এই বাংলার মেধা-শ্রম সম্পদ দিয়ে বাকি দুনিয়াকে সমৃদ্ধ করে নিজের দেশকে দেউলিয়া নিঃস্ব করার অপরাধ কি আমাদের আগামী মার্জনা করবে?

নিজেদের বিধির লিখন নিজেদের ললাটে নিজেরাই এঁকেছি আমরা। বড় আক্ষেপ রয়ে গেল, যাওয়ার আগে প্রত্যক্ষ করে যেতে হচ্ছে মুমূর্ষু পাহাড়-অরণ্য-নদীর জরাগ্রস্ত রূপ, নিজের প্রিয় মাতৃভাষার করুণ বিলুপ্তি। তবু দীপাবলীর শুভ সন্ধ্যায় মোমের নরম আলোয় সন্তানের প্রিয় মুখ চেয়ে প্রার্থনা করি, এ মাটিতে ফের স্বপ্ন ফলাও প্রভু, এদেশের বুকে আরোগ্য আসুক নেমে।

ছবি: গৌতমেন্দু রায়
এই সংখ্যার সূচী

করোনা কালের প্রতিবেদন ফ্রি রিডিং

Disclaimer: Few pictures in this web magazine may be used from internet. We convey our sincere gratitude towards them. Information and comments in this magazine are provided by the writer/s, the Publisher/Editor assumes no responsibility or liability for comments, remarks, errors or omissions in the content.
Copyright © 2025. All rights reserved by www.EkhonDooars.com

Design & Developed by: WikiIND

Maintained by: Ekhon Dooars Team