ও’ ম্যালে সাহেব ১৯০৭ সালে সর্বপ্রথম প্রায় তিরিশটি হাতির একটি দলকে ভারতের দার্জিলিং জেলার মহানন্দার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বালাসন, রক্তি, চ্যেঙ্গা, মাঞ্জা ও মেচি নদী পার করে নেপালের বাহুনডাঙ্গি জঙ্গলে যেতে দেখেছিলেন। দীর্ঘদিনের এই কাজ তিনি নথিভুক্ত করেছিলেন, যা আমাদের কাছে পরবর্তী কালে ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে থেকে যায়। এর পর জয়ন্ত মল্লিকের কিছু লেখায় তা পুনরায় প্রকাশ পায়, তার সাথে প্রয়াত ধৃতিকান্ত লাহিড়ি চৌধুরী'র বেশ কিছু লেখাতেও নকশালবাড়ির হাতি, মেচি পারের হাতিদের আনাগোনা ও তার সাথে সত্তরের দিকে নকশালবাড়ির হাতি খেদানোর প্রথম তথ্য সামনে আসে। বাদ যায়নি ব্যাঙডুবি গল্ফ কোর্সে হাতিদের আনাগোনার কথাও। এসবের পরেও একটি তথ্যসূত্র দিয়ে বারবার জোড়া লাগানো যায় হাতিদের ভারত-নেপাল সীমান্তের পরিযাণ যা বর্তমানে কতটা অটুট আছে তা বলা মুশকিল।
হাতিদের প্রাচীন এই যাতায়াত পথ তো তখনও ছিল, আর এখনও আছে। কিন্তু তার মাঝে পরিবর্তন ঘটে গেছে বহু কিছু। একটা সময় ব্রিটিশদের অপসারণের পর দেশ যখন উথালপাতাল, সেই সময়ে হস্তিকূলের কথা কারো মাথায় আসে নি। এরপর সমগ্ৰ নকশালবাড়ি জুড়ে যখন আন্দোলন শুরু হল অর্থাৎ ষাট-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে, তখন কিন্তু ভারত-নেপাল সীমান্তের টুকুরিয়া, উত্তম চন্দ্র ছাট্, কলাবাড়ি ও সমগ্ৰ মেচি নদী ঘেঁষা জায়গাগুলোতে তার প্রভাব পড়তে আরম্ভ করল। সেই প্রভাব যে শুধু মানব সমাজের উপর পড়ে তা নয়, জীববৈচিত্র্য থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক সম্পদের যথেষ্ট ক্ষতি হয় এবং সেই আন্দোলন যদি প্রান্তিক মানুষের স্বার্থে হয়, তাহলে তার প্রভাব বহুদিন যাবৎ থেকে যায়। গোটা নকশালবাড়ি ও মেচি নদীর ধার ঘেঁষা জায়গাগুলো সে সময় বাদ পড়ে নি। জঙ্গলের ক্ষতি তো হয়েছেই, তার সাথে প্রচুর মানুষের আবাসস্থল তৈরি হয়েছে। এই সময় হাতিদের নিয়ে চিন্তাধারা ছিল অনেক দুরে, মানুষের প্রয়োজনকেই শীর্ষে রাখা হয়েছিল।
এরকম আরও দৃষ্টান্ত আমরা খুঁজে পাই ভারত-চীনের যুদ্ধের সময়। সে সময় সমগ্ৰ উত্তরবঙ্গ জুড়ে হাই এলার্ট-এর ফলে সেনানিবাস তৈরি করা হয়। যার বেশিরভাগই ছিলো জঙ্গল অধ্যুষিত। সাম্প্রতিক ব্যাঙডুবি থেকে খাপরাইল, বৈকুন্ঠপুর থেকে বিন্নাগুড়ি সমস্ত জায়গায় বিশাল জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই সেনানিবাস। যার প্রভাব যে হস্তিকুলের চলাচলের উপর পড়েছে তার প্রমাণ আমরা মাঝেমধ্যেই পাই বিভিন্ন খবরের পাতায়। এরপরেও থেমে থাকেনি, গোর্খাল্যান্ড-এর দাবিদাওয়া থেকে শুরু করে অর্থাৎ আশির দশক থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত সমগ্ৰ উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চল সহ পাদদেশের জঙ্গলের প্রাকৃতিক সম্পদে তার ছাপ দেখা যায়। এই সময় ভারত-নেপাল সীমান্তের মেচি নদী থেকে শুরু করে পানিঘাটা, কলাবাড়ি, মিরিক ও কদমার জঙ্গল যা ছিল হাতিদের যাতায়াতের পথ, সব ধীরে ধীরে দখল হতে হতে বর্তমানে শুধুমাত্র টুকরো জঙ্গলে এসে ঠেকেছে।
সমগ্ৰ তরাই পাদদেশে হাতিদের অবাধ বিচরণের জায়গায় মানুষ বসেছে। লোকবসতি হয়েছে, গ্ৰাম, জোত, চা বাগান বৃদ্ধি পেয়েছে। সেনানিবাস তো ছিলোই, তারপরেও এসব কিছু থেমে থাকেনি। যে পরিমাণ মানুষের প্রভাব এই অঞ্চলে বেড়েছে, সেই তুলনায় বাড়েনি তাদের প্রয়োজনীয় রোজগার। যার ফল হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদের যথেষ্ট ব্যবহার। সে নদীর পাথর হোক বা কিংবা জঙ্গল, জল সবকিছুই। হাতিদের জন্য আমরা হাতে গোনা কয়েক টুকরো জঙ্গল ছাড়া কিছুই রাখিনি। তাও সে সব জঙ্গলে হাতিদের থাকবার মতো জায়গা ভীষণভাবে সীমিত।
একদিকে যেমন হাতিদের যাতায়াতের রাস্তায় ব্যাঘাত ঘটেছে, তার সাথেও সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদের আচার আচরণে, দৈহিক ও জৈবিক চাহিদার তাগিদে এবং তাদের সাথে মানুষের সম্পর্কের মধ্যে। নেহাত হাতিদের বুদ্ধি, সহ্যশক্তি অনেক বেশি, অনেক ঠান্ডা মাথার প্রাণি বলে নিজেদেরকে মানবকূলের সাথে মানিয়ে নিয়ে চলেছে। যাকে আমরা বর্তমানে বৈজ্ঞানিক শব্দে আবার ‘সহাবস্থান বা Coexistence’ আখ্যা দিয়েছি। এককথায় ব্যাপারটা অনেকটাই ‘আঙুর ফল টকের’ মতো অবস্থা, এত কিছু চেষ্টা করার পরেও আমরা যখন হাতিদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত, তখনই এই ভাষার উদ্ভব।
আপনারাই বলুন ও’ম্যালের দেখা হাতিদের সেই ঐতিহাসিক যাত্রাপথ মানুষের কী ক্ষতি করেছিল? শুধুমাত্র শস্য বিনাশের হাত থেকে বাঁচতে যদি একটা লম্বা ইলেকট্রিক তারের বেড়া দিয়ে আপনি ওদের ভবিষ্যতটাই অন্ধকারে ঠেলে দেন তাহলে সুবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের ভূমিকাটা কোথায়? নাকি একেই সহাবস্থান বলে? হাতিরা জঙ্গলে থাকলে আশপাশে ক্ষয়ক্ষতি হবেই, আর এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বুদ্ধিমান মানুষেরা কমিয়ে এনে যদি হস্তিকুলের সাথে নিরাপদে বাস করতে শুরু করে, তখন তাকে সহাবস্থান বলা যেতে পারে। আর এমনটাই হতে শুরু করেছে আমাদের উত্তরবঙ্গের মাটিতে। সব জায়গায় বলবো না, তবে হয়েছে এবং আরও হবে বলে আমি আশাবাদী।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে একটি ১৭.১৪ কিমি ইলেকট্রিক ফেন্সিং ভারত-নেপাল সীমান্তের মেচি নদীর পার ঘেঁষে নেপালের উপরের তিরিং থেকে নীচে কাকরভিটা (পানিট্যাঙ্কি) ব্রীজ পর্যন্ত স্থাপন করা হয়। যার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিলো হাতিদের হাত থেকে সমগ্ৰ বাহুনডাঙ্গি অঞ্চলের বিশেষ করে ২,৩,৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড'কে বাঁচানো। কারণ বর্ষার বৃষ্টিকে কাজে লাগিয়ে সবথেকে বেশি পরিমাণে ও উচ্চ গুণগত মানের ভুট্টা এই অঞ্চল জুড়ে চাষাবাদ হয় যার শুধুমাত্র নেপাল নয়, ভারতের বাজারেও রমারমা চাহিদা। আর এই ভুট্টাই হল হাতিদের কাছে উচ্চ পুষ্টিকর খাদ্য যার জন্য তারা যে কোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। ভুট্টা যে শুধুমাত্র নেপালে হয় তা নয়, সেই সঙ্গে সমগ্ৰ মেচি নদীর পার ঘেঁষে খাপছাড়া ভাবে ভুট্টার চাষ বাড়তে আরম্ভ করেছে। মূলত দেখা যায় গোর্খা আন্দোলনের পর থেকে যখন এই অঞ্চলে অর্থাৎ ভারতের সীমানা ঘেঁষে লোকবসতি বাড়তে আরম্ভ করে, তখন থেকেই চাষাবাদের জমি বাড়ে। ভুট্টা থেকে শুরু করে ধান, শিমূলতারু, গম, সব্জী সবকিছুই কম বেশি ফলে।
এবার যখন হাতিরা নিজেদের বেঁচে থাকার তাগিদে সীমানা না দেখে ভুট্টা ক্ষেতে নামে, তখন শুরু হয় খেদাখেদি। যার জন্য ওষ্ঠাগত হয় প্রান্তিক মানুষের জীবন। প্রথমে হাতিদের বিশাল দল বছরের বর্ষার আগমনে ভারত সীমান্তের কলাবাড়ির জঙ্গলে এসে জড়ো হয়। থেকে যায় প্রায় টানা কয়েক মাস, কারণ উদ্দেশ্যে তখন ভুট্টা খাওয়া এবং ভুট্টা শেষ হলেই রয়েছে ধান। এত হাতিদের খাবার যখন এখানে একসাথে মেলে, তখন তারা যায় কোথায়? মাসখানেকের জন্য এইসব ছোট জঙ্গলগুলো হয়ে যায় তাদের ঠিকানা। তবে ফেন্সিং দেওয়ার পূর্বে হাতিদের যখন অবাধ বিচরণ ছিল নেপালের ভেতরে, তখন সেখানেও তারা থেকে যেত ছোটো ছোটো জঙ্গলগুলোতে। এককথায় যাকে বলা হত Transboundary seasonal movement of elephants।
২০১৫ এর পর থেকে ইলেক্ট্রিক ফেন্সিং-এর ফলে তা বন্ধ হয়ে গেল পুরোপুরি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে যখন হাতিরা ও তাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম এই নির্দিষ্ট যাত্রাপথকে ফিরে পাওয়ার জন্য উদগ্রীব তখন, তখন শুরু হতে হল মানব সৃষ্ট দ্বন্দ্ব। শুধুমাত্র প্রথম কয়েক বছর নেপালে না যেতে পাওয়ার দরুণ আমাদের ভারতের নকশালবাড়ি, পানিঘাটা, খড়িবাড়ি ব্লকে মেচি নদীর পারে বসবাসকারী প্রচুর মানুষ হাতির দ্বারা ক্ষতিগ্ৰস্ত হলো। লোক মরল, সম্পত্তি ও শস্যের ক্ষতি হল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হল নকশালবাড়ির মতো জায়গা। আমাদের কার্শিয়াং বনবিভাগের পক্ষে এই সংঘাত কমানো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াল। এত সংখ্যক হাতি তাদের পুরনো যাত্রাপথে বাধা পেয়ে শেষে বাংলাদেশ, বিহার চলে যাওয়ার উপক্রম হল।
মোটামুটি পাঁচ বছর এই অত্যাধুনিক ফেন্সিং টেকার পর হাতিরাও তাদের সমগ্ৰ শক্তি ও বুদ্ধির জোরে অবশেষে নেপালের মাটিতে পা রাখতে সক্ষম হল। মাঝখান দিয়ে কিছু নতুন জায়গায়, ভারত-নেপাল মিলিয়ে, কিছু নতুন মানুষজন হাতির সাথে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ল। যা বর্তমানে দাঁড়িয়ে অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। এত কিছুর মধ্যে থেকেও হাতিরা কিন্তু নিজেদেরকে মানুষের সাথে খাপ খাইয়ে নিল। এমনকী মানুষেরাও তাতে সন্তুষ্ট থাকল। বলাই বাহুল্য, আমাদের ভারতের সীমানার মধ্যে গত আট বছরে এই ফেন্সিংকে কেন্দ্র করে একটি হাতিও মানুষের দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে মারা পড়েনি। কিন্তু মানুষ মারা পড়েছে প্রচুর। তবুও হাতির প্রতি এখানকার মানুষের এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিহিংসা ফুটে ওঠেনি। অন্যদিকে এই সাত বছরের ব্যবধানে শুধুমাত্র নেপালের বাহুনডাঙ্গির ভেতরেই নাই নাই করে সাতটি হাতির মৃত্যু হয়। যার মধ্যে চারটি ঘটনায় ইলেকট্রিক-এর শকে মারার তথ্য সামনে আসে, আর দুটি পৃথক ঘটনায় দুটি পৃথক দাঁতালকে মারা হয় এবং দাঁতগুলো কেটে ফেলা হয় অবৈধ ভাবে। এছাড়াও বিগত দুই বছরে দুটো হাতির বাচ্চার উপর অত্যাচার চালানো হয় যখন বাচ্চা দুটি আটকে পড়ে নেপালের বাহুনডাঙ্গিতে। অবশেষে কিছু প্রকৃতিপ্রেমী এবং বন দপ্তর ও সীমা সুরক্ষা বলের সহায়তায় বাচ্চা দুটিকে ফিরিয়ে আনা হয় ভারতের কলাবাড়ির জঙ্গলে। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই মানব সংস্পর্শে আসার জন্য বাচ্চা দুটিকে দল পরিত্যাগ করে এবং অবশেষে বহু চেষ্টার পরেও মারা যায়।
হাতি তো বটেই, শুধুমাত্র এই বেড়াজালের দরুণ নেপালেও হাতির হানায় বেশ কিছু মানুষ মারা পড়ে। সংঘাত এর সূত্রপাত সেখানেও হয়। দেখা যায় বিগত তিন বছর ধরে কিছু হাতির দল, যাতে অন্তত তিরিশটির কাছাকাছি হাতি নেপালের এই ফেন্সিং টপকে বাহুনডাঙ্গির খাপছাড়া জঙ্গল পেরিয়ে জলথল পর্যন্ত যায় এবং আবার ঘুর পথে নেপালের 'কোশি টাপ্পু' পর্যন্ত চলে যায়, যা কিনা একটা সময় হাতিদের ঐতিহাসিক যাত্রাপথ ছিল। মাঝে মধ্যে এই দলের খাপছাড়া হাতিগুলো পারিবারিক দল নিয়ে ভারতের কলাবাড়ি জঙ্গলে ফিরে এলেও আবার তারা নেপালের জঙ্গলগুলোতেই পরিযাণ জারি রাখে। এমনকী এই দলেরই দুটি হাতি কিন্তু চারালি ও জলথলের কাছে প্রাণ হারায়। শুধু তাই নয়, ছোট এই দলটি সমগ্ৰ পুর্ব নেপালের ভেতরে ঘোরাঘুরি করতে থাকে, এবং আজকের দিন পর্যন্ত তাদের উপর সেই অর্থে নজর রাখা সম্ভব হয় নি। গেল এপ্রিল মাসের শেষের দিকে জলথল-এর জঙ্গল থেকে হাতিদের বিহারের দিঘলব্যাংক ও কিশানগঞ্জের বিহারটোলার কাছে তান্ডবের খবর আসে। এমনকী একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল এপ্রিলের ২০ তারিখ সেখানে মারা পড়ে। একদিকে যেমন বলা যায়, ছোট এই দলটি নেপাল থেকে ফেরার রাস্তা পায় না বা মানুষ ও তার প্রযুক্তির বেড়াজালে আটকে যায়, অন্যদিকে বলা যায় দলটি নতুন জায়গাকে জানা ও চেনার স্বার্থে, নিজেদের বিচরণ ভূমি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সেখানে আটকে যায়। এদিকে হাতিরা যাতে না ঢুকতে পারে বা না আসতে পারে, তার জন্য প্রতিনিয়ত ফেন্সিং এর সামনে প্রায় কয়েকশো গাড়ি বাইক নিয়ে হাতিদের দলকে কলাবাড়ির জঙ্গলে আটকে রাখা ও অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলতে থাকে।
আজকের দিনে দাঁড়িয়েও আমরা যখন উভয় দেশেই হাতিদের সংরক্ষণের কথা ভাবছি, তখন কি এটাই একমাত্র পন্থা বলা চলে? হাতিদের যাত্রাপথ আটকে যদি সংরক্ষণমূলক ইকো টুরিজম হয়, তাহলে তার ফল শুধু নেপালকে নয়, একই সাথে ভারতকেও ভুগতে হবে। যেনতেনপ্রকারেণ হাতি-মানুষ সংঘাতকে এড়িয়ে যেতে সংঘাতের নতুন দিক উঠে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। আমরা আশাবাদী উভয় দেশ একসঙ্গে বসে যদি এই সমস্যার সমাধান সামনে আনতে পারে, যেখানে হাতিরা তাদের পুরনো যাত্রাপথ ফিরে পায়, দুই দেশের প্রান্তিক মানুষকেও যাতে না ভুগতে হয়। ফেন্সিং দিয়ে শস্য বাঁচানো ক্ষতিকর নয়, তবে এটাও দেখতে হবে যে হাতিরা যেন তাদের করিডর ফিরে পায়। প্রতিটি দেশেই সরকারিভাবে হাতি-মানুষ সংঘাত এড়ানোর পন্থা থাকে, তবে কখনই তা যাত্রাপথ বা Migration route আটকে নয়। কারণ হাতিদের বাঁচিয়ে রাখতে গেলে তাদের যাত্রাপথ বাঁচিয়ে রাখতেই হবে।
Have an account?
Login with your personal info to keep reading premium contents
You don't have an account?
Enter your personal details and start your reading journey with us
Design & Developed by: WikiIND
Maintained by: Ekhon Dooars Team