 
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                                                 মনোনীতা চক্রবর্তী
                                            
                                                
                                                মনোনীতা চক্রবর্তী
                                            
                                            
                                         
                                            
                                        একটা ইউ-টার্ন। একটা বাঁক। একটা মোচড়। সেখান থেকেই জন্ম নেয় যাবতীয় বিশ্বাস । ঐশ্বরিক ভরসা। জকতা-গাঁ মৌজার মরলটোলা। খবর-গাঁ এলাকা। নদীর নাম দলঞ্চা। উত্তরবাহিনী নদী উত্তর থেকে দক্ষিণে না-গিয়ে আবার উত্তরেই ফিরেছে ! এখানেই এক অতিজাগতিক দৈব-শক্তি। আর এমনটাই বিশ্বাস করেন মরলটোলা সহ খবর-গাঁ -এর সমস্ত মানুষ। গত শীতের এক দুপুরেই একদিন কথা হচ্ছিল আমার স্কুলের দুই সহ-শিক্ষক নাদির আলি আর এজাজ মঞ্জরের সাথে। ওদের দু’জনের বাড়িই খবর গাঁ-তে। ওদের কাছেই শুনলাম সেখানে প্রতি বছর একটা মেলা বসে দীর্ঘকাল থেকে। সময়টা ওরা ঠিক বলতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু এই মেলার বয়স যে তাদের পরদাদারও বেশি সময়ের সেটুকু বলে।
এই মেলা বারণী মেলা তবে আঞ্চলিক উচ্চারণে বান্নি মেলা বলেই পরিচিত। ওদের কথা শুনে একটা তীব্র আগ্রহ জন্মে ওই মেলার বিষয়ে। ওদের কাছেই জানতে পারি যে প্রতিবছর মাঘী-পূর্ণিমায় এই মেলা বসে। শুধু তাই নয় এই বিষয়ে আমার আগ্রহ নিবৃত্তির জন্য নাদির ও এজাজ ভাই আমাকে যোগাযোগ করিয়ে দেন শ্রী চন্দ্রমোহন কর্মকার এবং তাঁর স্ত্রীর সাথে। ব্যস, ওমনি আমি আর আমার এক সহকর্মী-দিদি, সঙ্গীত শিল্পী স্বপ্না উপাধ্যায় রওনা হই মরলটোলার পথে।
কথায়-কথায় উঠে আসে কতকিছু। উঠে আসে মাঘী-পূর্ণিমার আসল গল্প। তার ব্রতকথা, দান, মানত অনেক কিছু! শ্রীমতি কর্মকারের কথায় বেরিয়ে আসে হিন্দু শাস্ত্রের অনেক কথা। বেরিয়ে আসে প্রাচীন লোকায়ত বিশ্বাস। ঈশ্বর-চেতনা। আসলে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ভারতীয় পরম্পরা অনুসারে প্রতিটা পূর্ণিমাই ভিন্ন-ভিন্নভাবে গুরুত্ব রাখে আমাদের জীবনে। ধর্ম-বিশ্বাস এমনই। তবে হিন্দুদের কাছে মাঘী-পূর্ণিমা এক বিশেষ গুরুত্ববাহী এবং তাৎপর্যপূর্ণ। কথা বলতে বলতে হারিয়ে যান যেন শ্রীমতি কর্মকার! উঠে আসে যে কথাগুলো --
প্রায় পঞ্চাশ-ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা এই মেলা ও মাঘী-পূর্ণিমার পুজো যেন মিলেমিশে এক সম্প্রীতির মিলন-উৎসবে আজ। জমিদার ও ব্যবসায়ী পঞ্চানন সিংহ। যিনি আজ আর শারীরিকভাবে আমাদের মধ্যে নেই। তিনিই এই মেলার জমিটি দান করেন।
Have an account?
Login with your personal info to keep reading premium contents
You don't have an account?
Enter your personal details and start your reading journey with us
Design & Developed by: WikiIND
Maintained by: Ekhon Dooars Team
