× home হোম archive আগের ওয়েব সংখ্যা panorama ডুয়ার্স সম্পর্কে play_circle_filled ভিডিও file_download মুদ্রিত সংখ্যার পিডিএফ library_books আমাদের বইপত্র
people এখন ডুয়ার্স সম্পর্কে article শর্তাবলী security গোপনীয়তা নীতি local_shipping কুরিয়ার পদ্ধতি keyboard_return বাতিল/ফেরত পদ্ধতি dialpad যোগাযোগ
login লগইন
menu
ad01112021105753.jpg
×
সংখ্যা: জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯
ডাকে ডুয়ার্স
জল দাও!
প্রদোষ রঞ্জন সাহা
বিশেষ নিবন্ধ
দার্জিলিঙ পাহাড়ে কি ফের ছড়াচ্ছে উত্তাপ?
সৌমেন নাগ
বিশেষ নিবন্ধ
বিনিময়ের সাত বছর পর সাবেক ছিটমহলের সাতকাহন
ড. রাজর্ষি বিশ্বাস
বিশেষ নিবন্ধ
অতিমারির দুবছর পেরিয়ে এবারও মালদার আমের ফলনে ও বাণিজ্যে প্রশ্ন চিহ্ন!
প্রতীতি দত্ত
ধারাবাহিক প্রতিবেদন
উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতি ও সংস্কৃতির লোকজন। পর্ব ৭। সাইটল
সব্যসাচী দত্ত
ধারাবাহিক প্রতিবেদন
পর্ব ১১। যে ব্যতিক্রমী মানুষগুলি ছিলেন উত্তরের গ্রামীণ উত্তরণের অংশীদার
প্রশান্ত নাথ চৌধুরী
শিলিগুড়ি স্টোরিলাইন
বিনি পরবে রোজ রকমারি সান্ধ্য ভোজ! গন্তব্য ‘বি-জে-পি’!
মৈনাক ভট্টাচার্য
দিনাজপুর ডে আউট
মরলটোলার বারণীমেলা
মনোনীতা চক্রবর্তী
কোচবিহার কড়চা
কী করে আমরা ভুলে যাই দোতারা সম্রাট টগর অধিকারীকে?
তন্দ্রা চক্রবর্তী দাস
ডুয়ার্স থেকে দূরে নয়
কাফেরগাঁও
অমিত কুমার দে
নেট কাহিনি
বাসা
সোমজা দাস
পাতাবাহার
সহজিয়া শরবত
চন্দ্রাশ্রী মিত্র
খুচরো ডুয়ার্স
পোয়েটিক্স নাকি পলিটিক্স?
ডাঃ কলম সিং,এম.বি. (ইউক্রেন),বি.এস (কলকাতা)
উত্তরের বইপত্র
রেনীর তরাই ডুয়ার্স-- একটি রহস্য রোমাঞ্চ ভরা ইতিবৃত্ত
মহাবীর চাচান
আমচরিত কথা
অ্যাডাল্ট এডুকেশন!! | আমচরিত কথা | পর্ব - ১৫
তনুশ্রী পাল
পুরানের নারী
হোলিকা
শাঁওলি দে

প্রচ্ছদ ছবি

এই সংখ্যার প্রচ্ছদ শিল্পী গৌতমেন্দু রায়

পোয়েটিক্স নাকি পলিটিক্স?

ডাঃ কলম সিং,এম.বি. (ইউক্রেন),বি.এস (কলকাতা)
Poetics or Politics

কলিকাগ্রাম কল্কে সমিতির সদস্যরা দল বাঁধিয়া পাহাড়ে গিয়াছে।  সমিতির চালা ঘরে প্রাক্তন ভূ-পর্যটক গবাক্ষ নন্দীর মুখে পাকিস্তান ভ্রমণের গপ্পো শুনতেছি সহসা সম্পাদকের ফোন আসিল। ধরিতেই তিনি খ্যাক খ্যাক করিয়া হাসিলেন। কহিলেন, “আমাদের লিট ফেস্ট লইয়া কিছু লিখিবে। খ্যাক খ্যাক খি---।”

লিট ফেস্ট বুঝিতেই মিনিট খানেক গেল। শেষে গবাক্ষবাবু হেল্প করিলেন। “আপনাকে লিট ফেস্ট নিয়ে লিখতে বলেছে তো? বেশ তো, গাড়ি থেকে নামার আগে এক ছিলিম টেনে নেবেন’খন। আমিই নিয়ে যাব গাড়ি চালিয়ে। আপনি টানবেন আর যাবেন।”

এহেন স্নেহপুষ্ট পরামর্শ পাইয়া লিট ফেস্টে যাইতেই  গদি আঁটা দ্বারবিশিষ্ট বৃহৎ কক্ষে গল্পকার বিল্বপত্র মুখোমুখি। মুখ শুষ্ক দেখিয়া কহিলাম, “কী হে! সুগার আছে নাকি?” ওমনি সে ভয়ানক উত্তেজিত হইয়া চাপা স্বরে কহিলেন, “কী কহিব কলম! ডুয়ার্সের ছোটগপ্পে মার্কেজের প্রভাব শীর্ষক ডকুচিত্র একটু আগেই রিলিজ করিয়াছে। আমার সত্তর মিনিটের বক্তব্য কেটে কত করেছে জান?”

“কত? দশ সেকেন্ড?”

বিল্ব একটু চটিয়া বলিল, “না। উনচল্লিশ।”

উহাকে সান্ত্বনা দিয়া বামে তাকাইতেই দেখি কবি কঙ্কাবতী। তাহাকে বিল্বপত্রের ঘটনা বলতেই সে নাক কুঁচকাইয়া কহিল, “তাও তো রেখেছে! পনসদা আমাকে স-ব ফুটেজ দেখিয়েছে, বুঝলে। বিল্বদার বক্তব্য একেবারে সহায়িকা থেকে ঝাড়া। পনসদা কী রেঞ্জের পরিচালক তুমি জানোই না।”

আমি কঙ্কাবতীর সহিত একমত হইয়া কফি খাইয়া বাথরুমে গিয়া দেখি উদাসী গায়ক উর্ধনেত্র হইয়া শি দিতেছেন। সেই অবস্থায় বলিলেন, “তুমি কি আমার অণু গল্পের সংকলন পড়েছ কলম? অবশ্য তোমরা কেন পড়বে? আমরা তো আর লেখক নই!”

“কিন্তু আপনি তো মান্না দের গান গাইতেন! এখানে?”

শি শেষে চিরিক করে চেন টানিয়া ক্লান্ত স্বরে উদাসী জবাব দিলেন, “আমি যে লিখি সেটাই অনেকে জানে না। আমি তো ঔপন্যাসিক তুষারমালার মত লিখতে পারি না। কেন তোমরা পড়বে?”

তুষারমালাকে আমি চিনি না। কিন্তু খানিক পর সর্বগুণা একা একা ঘুরিতেছে দেখিয়া কহিলাম, “তুষারমালা আসে নাই?” তিনি গম্ভীর হইয়া জবাব দিলেন, “তাকে বাদ দিয়ে আজকাল কিছু হয়? ওই দেখুন একসাথে দু-জন তাকে সাহিত্য বোঝাচ্ছে! দু-জনের আগ্রহ দেখেছেন? অথচ দু-জনের একজনও আমার শ্রেষ্ঠগল্প নিয়ে একটা লাইনও লেখেন নি। জিগ্যেস করলেই বলে, এই তো পড়ব! আপনি পড়েছেন?”

“না তো?”

“সে কী! আমাজনে পাওয়া যায় তো! দাঁড়ান লিংক হোয়াটসাপ করে দিচ্ছি। এখন অর্ডার করবেন তো?”

“বাড়ি গিয়ে...।”

“আরে আপনি আমাজন খুলুন। পেমেন্ট আমার কার্ড থেকে করবেন। আমাকে পরে পাঠিয়ে দিলেই তো হলো, তাই না?”

আমি হাঁটা শুরু করিয়া বলিয়া দিলাম, “সকাল হইতে এত ভিডিও কল করিয়াছি যে দেড় জিবি ফুরাইয়া গেছে।”

“আমি হটস্পট দিচ্ছি।”

সর্বগুণা সুন্দরী হইলেও তাহার অনুরোধ না রাখিয়া হাঁটা দিলাম। একটি বালিকা ব্যাজ পরাইতে আসিল। কহিলাম, “ইহাতে এলার্জি আছে। শ্বাসকষ্ট হয়।” সে বলিল, “সরি কাকু!” সম্পাদক কহিলেন, “ফেস্ট তো শুরু হয় নাই! যাচ্ছ কোথায়?” আমি তাহাকে সব বলিতেই তিনি আমাকে যাইতে বলিয়া মিটিমিটি হাসিতে হাসিতে বাথরুমে ঢুকিয়া পড়িলেন। আমি তড়িৎ গতিতে বাহির হইয়া নিকটস্থ বিয়ারাপণে প্রবেশ করিয়া দেখিলাম গবাক্ষবাবু ঢুলুঢুলু। কহিলেন, “ফেস্ট তো সদ্য শুরু হইল। রিপোর্ট লিখিবে না?”

আমি কহিলাম, “না না। আমি পলিটিক্স লিখিব। পোয়েটিক্সে আগ্রহ নাই।”

তিনি কহিলেন, “ইহাই ভালো। কোনও জটিলতা নাই। বড়ফুলের রাজ্যাধিপতি ডুয়ার্সে প্রবল টাইফুনের মুখে পড়িয়াছে, বৈকুণ্ঠপুরে সূর্যকুলীনবাবু পদ পায় নাই, যমদেব ঠিকাদারি ত্যাগ করিয়া ইন্দ্র হইয়াছেন, উত্তরবঙ্গীয় রথদপ্তর খাবি খাইতেছে,  মন্ত্রীকুমারীর চাকরি নট হইয়াছে, একজোড়া হাতি খুন হইয়াছে --- এতসব উত্তেজনা ছাড়িয়া তুমি পোয়েটিক্সে গিয়া ভুল করিয়াছ! এখন এক ঢোঁক ভালুক খাও। গাড়িতে বসিয়া তামাক খাইও।”

আমি ঢোঁক মারিয়া বোতল অর্ধেক করিয়া ভাবিলাম, পলিটিক্স লিখিয়া শহিদ হওয়া মঙ্গল। জেলে গেলেও আপত্তি নাই। সম্পাদককে কহিব, ছোট ফুলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাইতে গিয়া যদি সিবিআই-এর পাল্লায় পড়ি তাহাতেও সুখ। কেহ যদি পাকিস্তান যাইতে পরামর্শ দেয় তো চলিয়া যাইব। কিন্তু পোয়েটিক্স ...।

তখনই সম্পাদকের হোয়াটসআপ আসিল: “তুমি কোথায়? প্রাবন্ধিক ব্রহ্মাণ্ড বাচস্পতি তাহার 'ছোটগল্পে ধনেশ পাখির বিবর্তন' গ্রন্থখানির উদ্বোধক রূপে তোমার খবর করিতেছেন। অণুগল্প লেখিকা মন্দাকিনী তাহার 'অণুমতি' সংকলনের মোড়ক উন্মোচন তোমাকে দিয়া করাইতে ইচ্ছুক। এই বিষয়ে তোমার প্রতিক্রিয়া কী?”

একটু ভাবিয়া উত্তর দিলাম, “বাকরুদ্ধ।”

তারপর লিখিলাম, “স্তব্ধ হইয়া বসিয়া আছি।”

তিনি স্মাইলি পাঠালেন। তাহাতে সাইলেন্ট খ্যাক খ্যাক খ্যাক ...।

এই সংখ্যার সূচী

করোনা কালের প্রতিবেদন ফ্রি রিডিং

Disclaimer: Few pictures in this web magazine may be used from internet. We convey our sincere gratitude towards them. Information and comments in this magazine are provided by the writer/s, the Publisher/Editor assumes no responsibility or liability for comments, remarks, errors or omissions in the content.
Copyright © 2025. All rights reserved by www.EkhonDooars.com

Design & Developed by: WikiIND

Maintained by: Ekhon Dooars Team